'বাংলার মাটি থেকে চিরতরে বাকশাল উৎখাত করার শপথ নিতে হবে এই গনতন্ত্র হত্যা দিবসে।দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে এবং দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে অবিলম্বে এই বাকশালী ফ্যাসিস্ত সরকার উৎখাৎ করে বাংলাদেশের জনগনের হারানো গনতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।'
আজ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি) এর উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র হত্যা ও কালো দিবস’ পালন উপলক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে অনুস্ঠিত এক বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত বিএনপি নেতারা এসব কথা বলেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, ৫ জানুয়ারি ‘গনতন্ত্র হত্যা’ দিবসে এই স্বৈরাচার সরকারের হাত থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার আন্দোলনের ডাক দিয়েছন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, সেই ডাকে আজ বাংলাদেশের আপামর জনসাধারন অধির আগ্রহে ঝাপিয়ে পড়েছে।। বক্তারা বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য একটাই, তা হচ্ছে শেখ হাসিনার বিদায় ও সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ ও নয়াপল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে পুলিশের তালা লাগানোর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। এসময় বক্তারা অবিলম্বে গুলশান ও নয়াপল্টন কার্যালয় থেকে পুলিশ সরিয়ে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। একইসঙ্গে তারা দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি,যুব দল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সহ আটক সকল নিরপরাধ বিএনপির নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করেন।
গনতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী ডঃ ওসমান ফারুক, বেগম জিয়ার বিশেষ উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এর বৈদেশিক দূত ডঃ মুজিবুর রহমান এবং জাহিদ এফ সরদার সাদী ।
জাতিসংঘ সদর দপ্তর সংলগ্ন এলাকায় প্রচন্ড ঠান্ডা আবহাওয়া উপেক্ষা করে বিপুলসংখ্যক বিএনপির নেতা কর্মীদের উপস্থিতিতে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে মূহুমূহু ‘স্বৈরাচার’ ও ‘গণবিরোধী’ বলে স্লোগান দেয়া হতে থাকে।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন,যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ইলিয়াস আহমেদ মাষ্টার, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মনজুর আহমেদ চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন এবং বিএনপির সাবেক নেতৃবৃন্দের মধ্যে মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সুরুজ্জামান, শাহজাহান শেখ, এমদাদুল হক কামাল, নূরুল আমীন, আব্দুস সবুর, সফিক রহমান দুলাল, জাফর তালুকদার,আব্বাস উদ্দিন দুলাল, আবুল কাশেম, সুভাষ মজুমদার, কাজী খায়রুল বাসার, এবি সিদ্দিক, আব্দুল রহিম, বদিউল আলম, রাসেদ খান, জাহিদ দেওয়ান শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।