পর্ণোগ্রাফি আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার হলেন বেসরকারি টিভি চ্যানেল একুশে টেলিভিশিনের (ইটিভি) চেয়ারম্যান ও সিইও আবদুস সালাম।
সোমবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাকে ধরে নিয়ে যায় সাদা পোশাক পরা ১০ থেকে ১৫ জন ব্যক্তি। বর্তমানে তাকে ডিবি কার্যালয়ের নতুন ভবনে রাখা হয়েছে বলে ইটিভির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।
আবদুস সালামকে ধরে নিয়ে যাওয়ার কথা ডিবি প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করে জানায়, তাকে পর্ণোগ্রাফি আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে যে অজুহাতই দেয়া হোক না কেনো,এই গ্রেফতারের আসল কারন বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অবরুদ্ধ কার্যালয়ের লাইভ সম্প্রচার সরকারী নির্দেশে বন্ধ না করা এবং আসল সত্য জনগনের সামনে তুলে ধরাই কাল হয়েছে আওয়ামী ঘরানার ঘনিস্ঠ জনাব সালামের জন্য।
ইটিভির সূত্র জানায়, সোমবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে আবদুস সালাম তার কার্যালয় থেকে বের হয়ে বাসায় যাওয়ার সময় নিচ থেকে তাকে গাড়িসহ নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় তার গাড়ি চালককে নামিয়ে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে ইটিভির চিফ ফ্যাসিলিটিজ কো-অর্ডিনেটর সাঈদ মুন্না দৈনিক প্রথম বাংলাদেশকে জানান, ডিবির উপ কমিশনার মাসুদর রহমান (মিডিয়া) গ্রেপ্তারের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। একুশে টিভির অনুষ্ঠান একুশের চোখে পরিবেশিত এক প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় দায়ের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুপুরে তাকে আদালতে নেয়া হবে।
তিনি জানান, একুশের চোখে গত ৪ অক্টোবর একটি প্রতিবেদন পরিবেশিত হয়। পরে ৬ নভ্ম্বের এটি পুনরায় পরিবেশন করা হয়। এর প্রক্ষিতে রাজধানীর ১৬ নভেম্বর একজন নারী বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় পর্ণোগ্রাফি আইনে একটি মামলা করেন। মামলা নং ১৪। এ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে আবদুস সালামকে।