৪ জানুয়ারি পূর্ব লন্ডনের দ্য অট্রিয়াম হলে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলটির যুগ্ম মহাসচিব দেশনায়ক তারেক রহমান ব্ঙ্গবন্ধুকে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম দূর্নীতিবাজ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন।’
তারেক জিয়ার দেয়া বক্তব্যের ঠিক পরদিন (৫ই জানুয়ারি) একই হলে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের আয়োজনে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উদযাপনে তারেক জিয়ার সভার কথা উল্লেখ করে প্রধান অতিথি, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন ‘’ তারেক জিয়ার গতকালের সভার পরে এই হলটিকে আমার কাছে অপবিত্র মনে হচ্ছে। হুজুর এনে মিলাদ পড়িয়ে এই হল রুম পবিত্র করা প্রয়োজন। সৈয়দ আশরাফ তার বক্তব্যে দলীয় কর্মকান্ডের পাশাপাশি লন্ডন জীবনের স্মৃতিচারণও করেন।
তবে যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উদযাপনের সমাপ্তি ঘটে সাম্প্রদায়িক উস্কানি নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে তুমুল হাতাহাতির মধ্যদিয়ে। শেষপর্যন্ত বিষয়টি পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায় আওয়ামী লীগের যুব ক্রীড়া সম্পাদক ও যুক্তরাজ্য যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারিফ আহমদ ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হরমুজ আলী শাহ নেওয়াজ নামক বিএনপির এক এজেন্ট কে সভা থেকে বের হয়ে যাওয়ার কথা বলেন। কিন্তু শাহনেওয়াজ নিজেকে আওয়ামী লীগার হিসাবে দাবী করলে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ যুক্তরাজ্যের সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সুশান্ত দাশ গুপ্ত তা সমর্থন করলে শাহ নেওয়াজ তাকে ‘’মালাউন ‘’ বলে গালি দিলে সভাস্থলে হাতাহাতির সূত্রপাত ঘটে। তারই রেশ ধরে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সভা শেষে একই সুরে সুশান্ত দাশ গুপ্ত কে ‘’মালাউন’’ বলে অশ্লীল গালিগালাজ করলে আবার ও উত্তেজনার দেখা দেয়।
পরে উপস্থিত নেতা কর্মীগণের মধ্যস্থতায় সেখান থেকে সবাই কে সরিয়ে নেন। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুই পক্ষই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে। উপস্থিত নেতা কর্মীরা দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর এমন সাম্প্রদায়িক হতবাক হয়েছেন। সুশান্ত দাশ গুপ্ত বলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির ধারক বাহক হিসাবে অর্ধশতাব্দী ধরে বাংলাদেশে রাজনীতি করছে। দলের দায়িত্বশীল কোন নেতার এমন সাম্প্রদায়িক উক্তি আমাকে মর্মাহত করেছে।