পলাতক আসামি হওয়ায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার না করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে তারেক রহমানের আইন ও সংবিধান পরিপন্থি বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে চার সপ্তাহের রুলও জারি করা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায়।বুধবার বিচারপতি ড. কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
আইনজীবী রেজাউল করিম বলেন, ‘একজন পলাতক, ফেরারি আসামি হিসেবে তারেকের যে সকল আইন ও সংবিধান পরিপন্থি, যা প্রচার করলে দেশের শান্তি বিঘ্নিত হয়, জন-অসন্তোষ সৃষ্টি হতে পারে, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সেসব বক্তব্য বাংলাদেশের সকল ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট, অনলাইন মিডিয়াকে প্রচার ও প্রকাশ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।’
তিনি আরো বলেন, ‘তারেকের পাসপোর্টের কী অবস্থা, তিনি তার পাসপোর্টের মেয়াদ বাড়িয়েছেন কি না এবং তারেক রহমানের বর্তমান অবস্থান কী, তা আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিবকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে আদেশ দেওয়া হয়েছে।’
রুলে তথ্য সচিব, আইন সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, আইজিপিসহ ১২ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকী লিনা তারেকের বক্তব্য বাংলাদেশের মিডিয়ায় প্রচার না করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটে পলাতক আসামিদের বক্তব্য প্রচার না করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়।