পর্নোগ্রাফি আইনে করা মামলায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ইটিভির চেয়ারম্যান আবদুস সালামের রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে আদালত পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।
ডিবি পুলিশের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মেহের নিগর সুচনা বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
এদিন সাত দিনের রিমান্ড শুনানীর দিন ধার্য ছিল। মামলা সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদন করেন। অন্যদিকে আবদুস সালামের আইনজীবী এ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান জামিনের আবেদন করেন। আদালত উভয় পক্ষের শুনানী শেষে এ আদেশ দেন।
মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করে কোন উদ্দেশে পর্নোগ্রাফি ছবি প্রচার ও মামলা সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শাহ মোহাম্মদ ইলিয়াস জামান আকন। ওইদিন মামলার প্রয়োজনীয় নথি না থাকায় রিমান্ড শুনানীর জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে, সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে কারওয়ান বাজার ইটিভির কার্যালয় থেকে বাসায় ফেরার পথে তাকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাকে পর্নোগ্রাফি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, এক নম্বর আসামি জহিরুল হক প্রতারণামূলকভাবে মামলার বাদী কানিজ ফাতেমের অজ্ঞাতে তার স্থির ও ভিডিও চিত্র গোপন ক্যামরায় ধারন করে অন্য নারীর অশ্লীল ছবির সঙ্গে বাদীর মুখ সংযুক্ত করে ছবিগুলো ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন, ফেসবুক ও ইলেকট্রনিক ডিভাইজের মাধ্যমে ২০১৪ সালের ৪ অক্টোবর মামলার অপর আসামিদের নিকট সরবরাহ করে। ২০১৪ সালের ৬ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টায় ইটিভির ‘একুশে চোখ’ অনুষ্ঠানে তা প্রচার করা হয়।
অশ্লীল ছবি সম্প্রচার করায় পর্নোগ্রফি আইনে ২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম ওয়ায়েজ কুরুনী খান চৌধুরীর আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
আদালত মামলাটি এজাহার হিসাবে নেওয়ার জন্য ক্যান্টনমেন্ট থানাকে নির্দেশ দেন। ক্যান্টনমেন্ট থানা ২০১৪ সালের ২৭ নভেম্বর মামলাটি এজাহার হিসাবে গ্রহণ করে।
মামলার অভিযুক্তরা হলেন- জহিরুল হক ইমরান, ইটিভির সিনিয়ার রিপোর্টার মো. ইলিয়াস, শাহাজালাল ও মো. জাকির হোসেন।