DMCA.com Protection Status
title=""

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অবরুদ্ধ জীবন ৬ দিন পেরুলো

dnটানা ষষ্ঠ দিনেও গুলশানের নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। প্রধান ফটকে দ্বিতীয় দফায় দেয়া তালা রাতেই খুলে দেয় পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিনে তালা খুলে দেয়ার পর রাতে দ্বিতীয় দফায় প্রধান ফটক তালাবন্ধ করা হয়েছিল।

সরেজমিন দেখা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় ঘিরে জলকামান ও পুলিশ ভ্যানের ব্যারিকেড বহাল রয়েছে। শুক্রবার বিকালে লাঠি হাতে ২৫ নারী পুলিশ সদস্য কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনেই অবস্থান নেয়। ইট-বালু-সুড়কি বোঝাই ট্রাকগুলো সড়ক থেকে সরিয়ে নেয়া হলেও পুলিশের জলকামান ও একাধিক ট্রাক সেখানে রাখা ছিল।

 

সকাল থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের পাহারা ঢিলেঢালা থাকলেও বিকালের দিকে তারা সতর্ক অবস্থান নেয়। টিভি চ্যানেলগুলোতে লাইভ সম্প্রচার বন্ধ থাকায় অলস সময় কাটিয়েছেন সেখানে অবস্থানকারী সংবাদকর্মীরা। গুলশানের ৮৬ নম্বর সড়কের মুখে যথারীতি পুলিশের তল্লাশি চৌকি বসানো আছে। ওই সড়কে সাধারণ মানুষ ও যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সাংবাদিকদেরও সড়কের মুখে পরিচয়পত্র দেখে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন, ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সকালে তিনি ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন। এরপর তিনি বিভিন্ন জেলার নেতাদের খোঁজখবর নেন।

'গণতন্ত্র হত্যা' দিবস উপলক্ষে ৫ জানুয়ারি সমাবেশ ডেকেছিল ২০ দলীয় জোট। ৩ জানুয়ারি রাতে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের অসুস্থ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে দেখতে তিনি বের হতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ। এরপর থেকেই গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন খালেদা জিয়া। ৫ জানুয়ারি বিকালে পূর্বঘোষিত সমাবেশে যোগ দিতে কার্যালয় থেকে বের হতে চাইলে প্রধান ফটকে তালা দেয় পুলিশ।

 

Share this post

error: Content is protected !!