DMCA.com Protection Status
title=""

সরকারের মেয়াদ শেষের আগে কোনো সংলাপ নয়: মতিয়া

image_113481_0বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপে সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন আন্দোলনের নামে বিএনপি দেশে সহিংসতা চালাচ্ছে।

তিনি বলেন পাঁচ বছর  পার না হলে বিএনপির সাথে সংলাপের কোনো প্রশ্নই আসে না।
 


বিএনপির চলমান আন্দোলন মানুষ সমর্থন করছে এমন দাবি করে বিএনপির একজন নেতা বলেছেন সংলাপের মাধ্যমে দ্রুত নির্বাচন ছাড়া চলমান সংকটের সমাধান হবে না ।



ঢাকায় বিয়াম মিলনায়তনে সংলাপের এ পর্বে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, বিএনপির আন্দোলন, সংকটের সমাধান এবং গণমাধ্যমে হস্তক্ষেপ সহ নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে।



সংলাপের এ পর্বে আলোচক ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত লে: জে: মাহবুবুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন এবং নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান ও অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন।



একজন দর্শক জানতে চান চলমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাতে করে কি বলা যায় যে আমরা সত্যিই একটি গণতান্ত্রিক দেশে বাস করছি ?



আরেকজন দর্শকের প্রশ্ন ছিল বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট কি কেবলমাত্র ক্ষমতায় যাওয়ার জন্যই আন্দোলন করছে?



জবাবে মতিয়া চৌধুরী বলেছেন সরকার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আর সেটিকে বাধা দেয়ার জন্যই বিএনপি আন্দোলনের নামে সহিংসতা করছে।



সংকট উত্তরণে এখনি কোন সংলাপ আয়োজনের সম্ভাবনাও নাকচ করে দেন তিনি।





তিনি বলেন, “ এটা কোন আন্দোলন নয়, এটা সহিংসতা। এখন সংলাপের কথা আসছে। গত বছর যখন প্রধানমন্ত্রী ফোন করলেন তখন আসলেননা। এখন সংলাপ সংলাপ অনেকেই বলছেন। কিন্তু চৈত্র মাসের মাসালা মাঘ মাসে বললে তো হবেনা।”



বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান বলেন দেশে এখন গণতন্ত্র বলতে কিছুই নেই। সংলাপের মাধ্যমে এ অবস্থা থেকে উত্তরণের কোনো বিকল্প নেই বলেই মনে করেন তিনি ।



তার দাবি দেশের মানুষ বিএনপির চলমান আন্দোলনকে সমর্থন করছে।



তিনি বলেন, “মহৎ উদ্দেশ্যে আন্দোলন হচ্ছে। আর তাহলো গণতন্ত্রের সংকট উত্তরণ। গণতন্ত্র তো নেই। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন তো প্রহসন। ওই নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার বা সংসদ এসেছে তা চোরাবালির মতো। এটাকে যত তাড়াতাড়ি বিদায় করতে পারি, জনগণ তা-ই চায়।”



আলোচনায় অংশ নিয়ে নাসিম আখতার হোসাইন বলেন, “গণতন্ত্র মানে শুধু একটি নির্বাচন নয়। বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব যাদের উপর ছিল তারা সেটি করতে পারেনি বলেই এখন এ সংকট দেখা দিয়েছে।”



বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব যাদের উপর ছিল তারা সেটি করতে পারেনি বলেই এখন এ সংকট দেখা দিয়েছে।নাসিম আখতার হোসাইন



সংকট থেকে উত্তরণ ঘটাতে আলোচনার উপরই জোর দেন তিনি।



তিনি বলেন, “গণতন্ত্রে সংকট হতে পারে । কিন্তু তাকে গণতান্ত্রিক উপায়েই তা সমাধান করতে হবে। গণতন্ত্রকে নির্বাচনের ফর্মুলায় ফেলে দিচ্ছে। কিন্তু গণতন্ত্র মানে তো শুধু নির্বাচন নয়।”



অপর প্যানেল প্যানেল আলোচক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন সরকারের অনেক মন্ত্রী বা সংসদ সদস্য নিজেরাই ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি।



তিনি বলেন, “দেশের রাজনীতি ঘুরপাক খাচ্ছে ক্ষমতায় থাকা আর যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে। সংকট নিরসনের কোন ধরণের উদ্যোগও দেখা যাচ্ছেনা।”

তিনি বলেন, “ গণতন্ত্র চর্চা সেভাবে হয়নি। এটা শুধু সরকারেরই দায়িত্ব না। বিরোধী দলেরও দায়িত্ব ছিল।”



বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের মালিককে গ্রেফতারের ঘটনা উল্লেখ করে আরেকজন দর্শক জানতে চান গণমাধ্যমের ওপর কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ চলছে কি-না।



জবাবে মাহবুবুর রহমান বলেন গণমাধ্যমকেও দমন করে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার।



অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে মতিয়া চৌধুরী বলেন গণমাধ্যম বা কারও কথা বলার ক্ষেত্রে সরকার কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করছে না।– বিবিসি।


 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!