বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের ফোনালাপ নিয়ে কথা বললেন না ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত পঙ্কজ শরণ।
সোমবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদরা তাকে এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত সমস্যা, বাণিজ্যিক সম্পর্ক, বিএসটিআইয়ের গুণগত মানসহ গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই রাস্ট্রদূত।তবে তিনি বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কোনো কথা হয়নি। কথা হয়নি ফোন আলাপ নিয়েও। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে।
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত পঙ্কজ শরণ বলেন, বিনিয়োগের পরিবেশ থাকায় ভারতের বড়-বড় বিনিয়োগকারী কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। ‘ভারত এবং বাংলাদেশ বাণিজ্যিক বন্ধু। ভারতের অনেক বড়-বড় কোম্পানি আছে, যারা বাংলাদেশে বিনিয়েগের জন্য তাকিয়ে আছে। এ বিনিয়োগে বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রগতি সহায়ক হবে। পাশাপাশি বিনিয়োগের ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়বে। এর ফলে শুধু বাংলদেশের নয় দুই দেশই লাভবান হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পঙ্কজ শরণ বলেন, ‘আমরা চাই এ অঞ্চলের সব জনগণের উন্নতি হোক। ভারতে বর্তমানে যে নতুন সরকার রয়েছে তাদের মূললক্ষ্য হচ্ছে- ভারতে উন্নতির পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়ন এবং আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদার করা।’
বৈঠক সম্পর্কে তোফায়েল আহমেদ জানান, ‘আগামীকাল ফেণী জেলার ছাগলনাইয়া বর্ডারে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ৩য় বর্ডার হাট উদ্বোধন হবে। মূলত আমরা সে বিষয়টি নিয়েই আলোচনা করেছি। পাশাপাশি পণ্য রপ্তানি, ট্রানজিট, ট্রান্সশিপমেন্ট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছি। বর্তমানে ভারত থেকে আমরা ৫ বিলিয়নের বেশি আমদানি করি। যা আমদানিতে দ্বিতীয় বৃহতম দেশ, প্রথম হচ্ছে চীন।’
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ‘পণ্য রপ্তানিতে ভারতের সঙ্গে যে সমস্যা রয়েছে তা সমাধানের পথে। বর্ডারে পণ্য আমাদানিতে যে সমস্যা রয়েছে তা সহজিকরণে আমরা ঐক্যমতে পৌঁছেছি। ভারতের যা করার তা করবে, আমাদের পক্ষ থেকেও আমরা করবো। আশা করি এ সমস্যার সমাধান হবে।