বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রিয়াজ রহমানকে গুলি করে আহত করার প্রতিবাদে সারাদেশে বৃহস্পতিবার হরতাল চলছে।
একই সঙ্গে দশম দিনের মতো অনির্দিষ্টকালের অবরোধও চলছে। বিএনপিকে সমাবেশ করতে না দেয়া এবং বেগম খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রাখার প্রতিবাদে এ অবরোধ চলছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় সারাদেশে শুরু হয় হরতাল। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
গত মঙ্গলবার রাতে রিয়াজ রহমানের ওপর হামলার পর রাত সোয়া ১১টার দিকে গণমাধ্যেমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সর্বাত্মক হরতাল কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান।
এর পরদিন অবশ্য হরতাল ১২ ঘণ্টা কমিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত করা হয়।
গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলের সামনে রিয়াজ রহমানের গাড়িতে গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। তার শরীরে কয়েকটি গুলি লেগেছে। রিয়াজের গাড়িটিও পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
অবরোধের ৮ম দিনে গুলশানে রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবরুদ্ধ বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে যাওয়ার পরপরই তিনি হামলার শিকার হন।
গুলিবিদ্ধ রিয়াজ রহমানকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকৎসকরা।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে ১৪ দলের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে জাসদের সাধারণ সম্পাদক মইনুদ্দিন খান বাদ বলেন, ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দমনে প্রথমে লাঠিপেটা করা হবে, পরে পায়ে গুলি। না হলে প্রয়োজনে বুকে গুলি করা হবে।’
রিয়াজ রহমানকে গুলি করার পর গতকাল এক বিবৃতিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এই ভোটারবিহীন সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হত্যা করার জন্য গুপ্তঘাতকদের নামিয়ে দিয়েছে বিভিন্ন পাড়ায় মহল্লায়। জনগণের তুমুল আন্দোলনের চাপে শেষ বিষাক্ত ছোবল দেয়ার জন্যই মরণঘাতি গুপ্তবাহিনী দিয়ে কমিটি গঠন করেছে তারা। এরই নির্মম শিকার হয়েছেন দেশের পেশাদার কূটনীতিক, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী রিয়াজ রহমান।’