ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভলস বলেছেন, তার দেশ চরমপন্থী ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে; মুসলিমদের বিরুদ্ধে নয়। মঙ্গলবার ফ্রান্সের জাতীয় পরিষদে দেয়া ভাষণে তিনি আরও বলেন, ইসলামপন্থী বন্দুকধারীরা প্যারিসে ১৭ জনকে হত্যা করে ফ্রান্সের মনোবল হত্যা করতে চেয়েছিল; কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। প্যারিসে গেল সপ্তাহে জঙ্গি হামলায় নিহত সাতজনের শেষকৃত্য সম্পন্নের পর এ বক্তৃতা দেন ভলস।
শার্লি হেবদোর ওই জঙ্গি হামলার পর মঙ্গলবার জাতীয় পরিষদে প্রথম বারের মতো মিলিত হয়েছিলেন ফ্রান্সের আইনপ্রণেতারা। অধিবেশনের শুরুতেই জঙ্গি হামলায় নিহতদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এর পর সম্মিলিতভাবে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার মাধ্যমে অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনে ভলস বলেন, ফ্রান্সজুড়ে বিশাল সংহতি সমাবেশগুলোয় লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতি সহিংসতার বিরুদ্ধে অভূতপূর্ব প্রতিক্রিয়া। তিনি বলেন, আমরা জিহাদিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়ছি; কিন্তু ফ্রান্স ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে না।
এদিকে ফ্রান্সের ব্যঙ্গরসাত্মক পত্রিকা শার্লি হেবদোয় হামলার দায় স্বীকার করেছে আল কায়দার ইয়েমেন শাখা। বুধবার ইউটিউবে পোস্ট করা ১১ মিনিটের এক ভিডিও ফুটেজে ওই হামলা চালানোর দাবি করে আল কায়দার এক শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার নাসের বিন আলি আল আনসি। ভিডিওতে আনসি বলেন, মহানবী (সা.) কে অপমান করার প্রতিশোধ হিসেবে শার্লি হেবদোয় আক্রমণ করা হয়েছে। আনসি বলেন, আল কায়দার ইয়েমেন শাখা এ হামলার লক্ষ্যবস্তু স্থির করেছে, পরিকল্পনা করেছে এবং অভিযানে অর্থায়ন করেছে। শনিবার আল কায়দার আরেক নেতা হারিথ আল নাদহারি শার্লি হেবদোয় হামলার দায় স্বীকার করেন।
তিনি বলেন, ফ্রান্সকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার মাত্রা বোঝাতেই এ হামলা চালানো হয়। গেল সপ্তাহে ফ্রান্সে সন্ত্রাসী হামলায় ১৭ ব্যক্তি নিহত হন। এদের মধ্যে প্যারিসের ব্যঙ্গরসাত্মক পত্রিকা শার্লি হেবদোর অফিসে জঙ্গি হামলায় এর সম্পাদকসহ ১২ জন নিহত হন।