চলমান ভয়াবহ সহিংস রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে হঠাৎ করেই কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু হলেও সরকারের ওপর কোনো আন্তর্জতাকি চাপ নেই বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে অবস্থানরত প্রতিমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি এমন দাবি করেন।
গতকাল বুধবার চলমান সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধিরা বিবৃতি দিয়েছেন। একই সঙ্গে তারা পরিস্থিতি উত্তরণে শিগগিরই সংলাপে বসারও তাগিদ দেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বাসায় বৈঠক করেছেন কানাডা, সুইডেন, নরওয়ে, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস ও ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের আবাসিক প্রতিনিধিরাসহ বেশ কয়েকজন কূটনীতিকরা। অপর দিকে একই সময় ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণের বাসায় নৈশভোজে ছিলেন মন্ত্রী, রাজনীতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। সেই নৈশভোজ শেষে বেরিয়ে যেতে যাদের দেখা গেছে তারা হলেন- তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর অ্যামেরিটাস ড. আনিসুজ্জামান, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিএম কাদের, ত্রিশালের এমপিসহ আরো অনেকে।
এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনার জন্য সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ আসছে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বাংলামেইলকে বলেন, ‘বুধবার ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বসা হয়েছিল। সেখানে ডিপ্লোম্যাটিক ব্রিফিং দেয়া হয়েছে। এরপরে বিষয়টি প্রেস ব্রিফিং করে বিভিন্ন মিডিয়ায় জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এখানে বাংলাদেশের ওপরে কোনো চাপ গত এক বছরেও ছিল না, আজকেও নেই। আমরা প্রত্যাশা করি সামনের দিনেও থাকবে না।’
বিদেশি কূটনীতিকদের তৎপরতার প্রেক্ষিতে সরকার বিএনপির দাবির ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দেয়ার তাগিদ অনুভব করছে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার তার দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে মনে করে, এরকম অরাজকতা, জ্বালাও পোড়াও, হত্যাকাণ্ড যারা সংঘটিত করছে এবং যাদের প্রত্যক্ষ মদদে ও সমর্থনে এগুলো হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার আরো কঠোর অবস্থানে যাবে। সেটা আমরা তাদের জানিয়ে দিয়েছি। তারাও (কূটনীতিকরা) সেটি প্রত্যাশা করেন। কারণ এরকম হিংসাত্মক রাজনীতি তারা দেখতে চান না- সেটা পরিষ্কার ভাষায় বলেছেন।’