দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ গুলশান ও বারিধারার কূটনীতিপাড়ায় কড়া পাহারা বসিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের সামনেও বসানো হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)-এর লাইভ ক্যামেরা।
রোববার (১৮ জানুয়ারি) গুলশান-বারিধারার কূটনীতিপাড়া ও খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয় সরেজমিন পরিদর্শনে এ চিত্র দেখা গেছে।
এর মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সার্বিক চিত্র ও তথ্য সরাসরি জানাচ্ছেন ডিএমপির সদর দপ্তরকে।সকাল সাড়ে ৯টায় খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারের লাইভ ক্যামেরা স্থাপন করেন ডিএমপির কনস্টেবল মাহবুদ হোসেন ও কামরুল আহসান।
জানতে চাইলে মাহবুদ হোসেন বলেন, এখানকার সার্বিক চিত্র ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারকে সরাসরি জানাতেই আমাদের এ উদ্যোগ। বিশেষ বিশেষ দিনে আমরা এ ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। আজকে এ এলাকার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সার্বিক চিত্র ধারণ করে তা সরাসরি ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে অবহিত করছি।
এদিকে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনের সড়কের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে অন্যদিনের তুলনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে পুলিশের সদস্য সংখ্যা। আনা হয়েছে দাঙ্গা পুলিশ। লোকজন চলাচলের ক্ষেত্রে আরোপ করা হয়েছে কড়াকড়ি।
কেবল আবাসিক ভবনের বাসিন্দা ও পরিচয়পত্র দেখিয়ে সংবাদকর্মীরাই খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনের সড়ক দিয়ে চলাচল এবং অবস্থান করতে পারছেন।
কারণ জানতে চাইলে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা (এসআই) শরিফুল ইসলাম বলেন, বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় ও কূটনীতিপাড়ার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে গুলশান ও বারিধারার আবাসিক এলাকা ও কূটনীতিপাড়ার সব প্রবেশ মুখে কড়া পুলিশ পাহারা বসানো হয়েছে।
রোববার সকাল থেকেই বারিধারা ডিওএইচএস, বনানী, হাতিরঝিল, নতুন বাজার, নর্দা-কালাচাঁদপুরসহ গুলশানে ঢোকার সব পথে মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা, রিকশা ভ্যান, কাভার্ড ভ্যান নিয়ে প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কেবল এসব এলাকার আবাসিক বাসিন্দারা তাদের ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন। তবুও কয়েক স্তরে চেকপোস্ট ফেস করার পর।