DMCA.com Protection Status
title="শোকাহত

নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধানদের নির্লজ্জ রাজনৈতিক বক্তব্যে কানাডা বিএনপির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

cbবি.জিবি, পুলিশ ও র‍্যাবের  প্রধান  ত্রয় এবং মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের নির্লজ্জ রাজনৈতিক বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ এবং নিন্দা জানিয়েছে কানাডা বিএনপি|

 

গতকাল ১৭ই জানুয়ারী,২০১০, শনিবার  এক যৌথ বিবৃতিতে কানাডা বিএনপির সভাপতি ফায়সাল আহমেদ চৌধুর্‌ সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ সোসাইটি অফ মন্ট্রিয়েলের সভাপতি এজাজ আকতার তৌফিক, সাধারণ সম্পাদক এ.কে আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আনসার আহমেদ, পেশাজীবি দলের সভাপতি এবং ওসাবের গ্লোবাল কো-অর্ডিনেটর প্রকৌশলী খন্দকার জুলফিকার হায়দার মুরাদ ও সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী শিহাব উদ্দিন, দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ সম্পাদক ও কানাডা বিএনপির আঞ্চলিক সমন্বয়ক ক্যাপ্টেন (অব.) মারুফুর রহমান রাজু,  কুইবেক বিএনপির সভাপতি শাহজাহান শামীম ও সাধারণ সম্পাদক মুহিম আহমেদ, মন্ট্রিয়ল বিএনপির সভাপতি নাসিরউল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দল কানাডা শাখার সভাপতি এম জয়নাল আবেদীন জামিল এবং আন্তর্জাতিক সম্পাদক আবদুস সবুর প্রমূখ বলেন, রাজনৈতিক সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের পথে না গিয়ে সরকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানদের রাজনীতির মাঠে নামিয়ে দিয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর যেসব কর্মচারীর রাজনৈতিক খায়েশ রয়েছে তারা তাদের উর্দি খুলে প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে রাজনীতিতে নামতে পারে।

 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রংপুরের মিঠাপুকুরে আইজিপি ও র‌্যাবের ডিজি জনসভায় রাজনীতিবিদদের ভাষণ দেয়ার মতো করে রীতিমতো রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন। তারা বিরোধী দল ও জনগণকে কঠোর ভাষায় হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের পরিণাম সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন। দেশে জাতীয় নির্বাচন কখন হবে না হবে সে ব্যাপারে তারা মন্তব্য করেছেন। আন্দোলনকারীদের জীবননাশের হুমকি দিয়ে ক্ষমতাসীনদের পক্ষে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করার কথা বলেছেন। বিরোধী দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কটূক্তি করে তারা ক্ষমতাসীদের রাজনৈতিক এজেন্ডার পক্ষেই সাফাই গেয়েছেন।

বিবৃতিতে তারা আরো বলেছেন, এসব ঘটনা স্বাধীন, গণতান্ত্রিক ও সভ্য দেশে অকল্পনীয়। জনগণের কষ্টার্জিত অর্থে বেতন-ভাতা গ্রহণকারী প্রজাতন্ত্রের এসব কর্মচারীর এমন ধৃষ্টতাপূর্ণ ও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। দেশে জনপ্রতিনিধিত্বশীল কোনো সরকার থাকলে শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও এখতিয়ার বহির্ভূত এমন সব বেআইনি বক্তব্য প্রদানের দায়ে তাদেরকে অবশ্যই চাকরিচ্যুত করে আইনামলে আইনের আওতায় আনা হতো।

তারা অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীনরা এতোটাই দেউলিয়া হয়ে পড়েছে যে, এখন রাজনৈতিক সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের পথে না গিয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানদের রাজনীতির মাঠে নামিয়ে দিয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর যেসব কর্মচারীর রাজনৈতিক খায়েশ রয়েছে আমরা তাদেরকে উর্দি খুলে প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে রাজনীতি মাঠে নামার আহ্বান জানাচ্ছি।

একই সঙ্গে জনগণের পাশে থেকে তাদের আইনসম্মত পন্থায় কর্তব্য পালনের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!