DMCA.com Protection Status
title=""

গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার সম্ভবঃপ্রখ্যাত ব্রিটিশ ল ফার্ম ‘হলবর্ণ চেম্বারস’

zamanবাংলাদেশে নির্বিচারে  গণহত্যার অভিযোগে বর্তমান সরকারের প্রধান শেখ  হাসিনাকে ও আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের সম্মুখিন করা সম্ভব।

সার্বিয়া ও বসনিয়ার যুদ্ধবাজ গণহত্যাকারী নেতাদের এবং আফ্রিকান টেলরকে ধরে এনে বিচারের উদাহরণও রয়েছে।বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে তারেক রহমানকে এই মুহূর্তে বাংলাদেশে ফেরত নেয়া সম্ভব নয়। লন্ডনের প্রখ্যাত ব্যারিস্টার স্টুয়ার্ট স্টিভেন্স একথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বৃটেনের বৈদেশিক সাহায্য পুনর্বিবেচনার আহবান জানিয়ে স্টুয়ার্ট স্টিভেন্স বলেছেন, বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র নেই ও মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই। মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নেই। 

শুক্রবার সেন্ট্রাল লন্ডনে প্রখ্যাত ব্রিটিশ ল’ ফার্ম ”হলবর্ণ চেম্বারস” এর প্রধান ব্যারিস্টার স্টুয়ার্ট স্টিভেন্স বাংলাদেশে গনতন্ত্রের দাবিতে চলমান রাজনৈতিক অবরোধ ও রাষ্ট্রযন্ত্রের হাতে নাগরিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ”মিট দ্যা প্রেস” এর আয়জন করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার আলেক্সান্ডার গালাগার, রেডভিড হেইউড, ইয়ান ম্যাকগাভিন, ক্রিস্টাল ম্যাককেন, মাইকেল ফিলবার্ন এবং ব্যারিস্টার কামরুজ্জামান।

 

লিখিত বক্তব্যে ব্যারিস্টার স্টুয়ার্ড বলেন, বৃটেনের নাগরিক হিসাবে আমাদের জানার অধিকার রয়েছে, কেন এমন একটি সরকারের প্রতি বৃটেন সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে যারা নিজের দেশের জনগণের অধিকার নির্মমভাবে দাবিয়ে রেখেছে। আমরা জানি বৃটেন সরকার এখনো বাংলাদেশে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিরোধী দলবিহীন এবং ভোটারবিহীন অবৈধ নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়নি। এখন আমাদের জানার অধিকার রয়েছে বৃটেন সরকার বাংলাদেশের জনগণের অধিকার রক্ষায় কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে।

২০১৩ সালের ৫ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনে ৩০০ আসনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ১৫৪টি আসনে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় ওইসব আসনে আওয়ামী লীগ নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিদের এমপি নির্বাচিত ঘোষণা করে। বাকি আসনগুলোতে নির্বাচনী নাটক করলেও কমপক্ষে ৪০টি আসনে একজন প্রার্থীও ভোট কেন্দ্রে যায়নি। ওই একচেটিয়া নির্বাচনের কারণে বিদেশি কোন রাষ্ট্র নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলও পাঠায়নি। যে কোন উপায়ে ক্ষমতা দখলে রাখতে আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধান থেকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পদ্ধতি পর্যন্ত বাতিল করে দেয়।

ব্যারিস্টার স্টুয়ার্ট বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবেনা জেনেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে দেশের প্রধান বিরোধী দলীয় জোট ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করে। ওইদিনটিকে “গণতন্ত্র হত্যা ও কালোদিবস“ হিসাবে ঘোষণা করা হয়। চলতি বছর দিনটি পালন করার জন্য বিএনপি রাজনৈতিক কর্মসূচী পালন করতে গেলে বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়াকে দলীয় কার্যালয়ে বন্দী করে রাখা হয়। এছাড়া দেশের একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দল যদি দেশে স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে না পারে এমন পরিস্থিতি থেকে কমনওয়েলথভুক্ত রাষ্ট্র হিসেবে বৃটেনের হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।

ব্যারিস্টার স্টুয়ার্ট আরো বলেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বর্তমানে যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালে দল ও দেশের স্বার্থে এবং ক্ষমতাসীন সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরণের কথা তুলে ধরে বক্তব্য দেন। কিন্তু গত ৭ জানুয়ারি দেশটির হাইকোর্ট এক আদেশে তারেক রহমানের বক্তব্য ও মন্তব্য দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। আমরা মনে করি এটি সরাসরি বাকস্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান। কারো কোন বক্তব্য ও মন্তব্য সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকারক হলে শুধুমাত্র ওই নির্দিষ্ট বক্তব্য কিংবা মন্তব্যটির ব্যাপারে আইনগত ব্যাখ্যা কিংবা ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। কিন্তু কোন ব্যক্তির বক্তব্য ও মন্তব্য প্রকাশে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারির ঘটনায় প্রমাণ করে দেশটিতে এখন আইনের দোহাই দিয়েও বেআইনী কর্মকাণ্ড চলছে। তিনি বলেন, একটি টেলিভিশন চ্যানেলের চেয়ারম্যানকে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারের দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসব গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতার সম্পূর্ণ পরিপন্থি।

অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার স্টিভেন্স আরো বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার সকল প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করেছে। বিচার বিভাগও দলীয়করণ থেকে মুক্ত নয়। এমনকি সেনাবাহিনীকেও দলীয়করণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের ২০১৪ সালের খুন, গুম এবং অপহরণের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের পুলিশ এবং র‌্যাব বিরোধী দলকে টার্গেট করে গুম খুন চালাচ্ছে। র‌্যাব পুলিশ দিয়ে ক্ষমতাসীনরা জনগণের অধিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!