বিএনপি চেয়াপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয় ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ, সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ ও গার্মেন্ট শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের নেতাকর্মীরা।
ঘটনাস্থল থেকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের উদ্দেশে রওয়ানা দেয় সংগঠন দুটি। তবে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের ঢুকার পথে নর্থ রোডের কাছে তাদেরকে আটকে দেয় পুলিশ। ঘেরাওকারীরা পরে গুলশান-২ নম্বর গোল চত্বরে অবস্থান নিয়ে হরতাল-অবরোধ বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
পরে সংগঠন দুটির সঙ্গে এসে যোগ দেয় গার্মেন্ট শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ। তারাও গুলশান-২ নম্বর গোল চত্বরে অবস্থান নিয়ে হরতালবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
সকাল পৌনে ১২টার সময় তাদের সঙ্গে এসে যোগ দেয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশি বাধায় তারা সেখানেই অবস্থান করছেন।
এর আগে গতকাল বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয় ঘেরাও করার ঘোষণা দেয় সম্মিলিত গাড়িচালক সমাজ ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ।বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের চলমান অবরোধ-হরতালের বিরুদ্ধে দুটি সংগঠন আলাদাভাবে এ ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করে তখন।
গতকাল বুধবার সম্মিলিত গাড়িচালক সমাজের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'তথাকথিত হরতাল ও অবরোধের নামে দেশে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, চোরাগোপ্তা বোমা হামলা, নাশকতা ও গাড়িচালকদের পেট্রোলবোমা দিয়ে অগ্নিদগ্ধ করে মেরে ফেলা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল ও ঘেরাও কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
'এতে আরো বলা হয়, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় অভিমুখে যাত্রা শুরু করা হবে।এছাড়া বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগও গতকাল এমন ঘেরাও করার কর্মসূচি ঘোষণা করে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় তারা গুলশান গোলচত্বর থেকে মিছিল নিয়ে খালেদা জিয়ার কার্যালয় ঘেরাও করবে বলে জানিয়েছিল।
এ লক্ষ্যে বুধবার সকালে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিতরণ করা প্রচারপত্রও বিলি করা হয়।এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি অবরোধ প্রত্যাহারের জন্য ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেয় সংগঠনটি।সংগঠন দুটির এমন কর্মসূচির সংবাদ পেয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, 'এরা পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া সৃষ্টি করতে চায়।
রাজনৈতিক সংকট সমাধানের জন্য তারা সরকারকে বলতে পারে। বিএনপিকে নয়। কারণ একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি তার কর্মসূচি পালন করছে। এরমধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তারা ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে।'এ ধরনের দূরভিসন্ধিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে সকলকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।