শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ আনতে মালয়েশিয়া গেছেন তার মামা শামীম ইস্কান্দারসহ ৩ জন।
বাংলাদেশ সময় শনিবার বেলা ১২টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কোকো মারা যান।
জানা যায়, কোকো মালয়েশিয়ায় বাসায় অবস্থানকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে ইউনিভার্সিটি অব মালায়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে হাসপাতালে নেয়ার আগে পথেই তিনি মারা যান।
দুই মেয়ের বাবা কোকোর বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। দেশ ছাড়ার পর তিনি স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে কুয়ালালামপুরের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
দিদার তখন জানিয়েছিলেন সোমবার তার মরদেহ দেশে আনা হবে।
এদিকে কোকোর ঘনিষ্ঠজন বিএনপি নেতা এনায়েত জানান, হাসপাতালে নেয়ার পথেই মারা যান কোকো। বর্তমানে তার মরদেহ ইউনিভার্সিটি অব মালায়া হাসপাতালেই রাখা আছে। মরদেহের পাশে বর্তমানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের ভাই মির্জা খোকন অবস্থান করছেন।
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ ছেলে আরাফাত রহমান কোকো ছিলেন একজন ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক। আরাফাত রহমান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও সিটি ক্লাবের সঙ্গেও ছিলেন যুক্ত। তার বড় ভাই তারেক রহমান বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান।
গত ওয়ান ইলেভেনের সময় গ্রেপ্তার হন আরাফাত রহমান কোকো। তবে ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই তৎকালীন সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পাওয়ার পর চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান তিনি। কিন্তু এরপর দেশে না ফিরে তিনি মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান।