DMCA.com Protection Status
title="শোকাহত

সদ্য আগত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকেট এখনও ব্যস্ত অবস্থা পর্যবেক্ষনেঃ শিগগীরই ভুমিকা রাখার আশাবাদ

download (28)মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব নিয়ে মার্সিয়া স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট ঢাকা এসেছেন ১০ দিন আগে। এসেছেন উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেই। চলমান অবরোধের মধ্যেই ঢাকা পৌঁছেন তিনি। এরপরে দুই দফায় হরতালও হয়েছে। সহিংসতার নানান দিক নিজেই দেখছেন রাজপথে, টিভি পর্দায় ও গণমাধ্যমের পাতায়।

অবশ্য এখনো আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব পালন শুরু করেননি এই নতুন রাষ্ট্রদূত। রাষ্ট্রপতির কাছে কূটনৈতিক পরিচয়পত্রও জমা দেননি। তবে অবসর নেই তার। প্রতিদিনই অনানুষ্ঠানিকভাবে দূতাবাস কর্তাদের কাছ থেকে জেনে নিচ্ছেন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নানান খুঁটিনাটি।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দূতাবাসের সদ্য সাবেক রাষ্ট্রদূত ও ডেপুটিদের নেওয়া ভূমিকা, সরকারের অবস্থানসহ সব বিষয়েই ব্রিফ করা হচ্ছে অভিজ্ঞ এই কূটনীতিককে। সবমিলিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও ঢাকার পরিস্থিতি আত্মস্থ করছেন বার্নিকাট। মধ্য ফেব্রুয়ারিতে পরিচয়পত্র জমা দেওয়ার পরই হয়তো আসবেন গণমাধ্যমের সামনে।

সূত্র মতে, ২৭ বছরের কূটনৈতিক ক্যারিয়ারের অধিকারী বার্নিকাট সাবেক রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনার ভালো বন্ধু। কিন্তু মজীনাসহ অন্যান্য সর্বশেষ ঢাকায় দায়িত্ব পালন করে যাওয়া রাষ্ট্রদূতদের মতো বিমানবন্দরে নেমেই গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি বার্নিকাট। ২৫ জানুয়ারি বিমানবন্দরে নেমেই চলে গেছেন গুলশানে তার নির্ধারিত বাসভবনে।

বিমানবন্দরেই তার সঙ্গে পরিচিতি সম্পন্ন হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমেরিকা অনুবিভাগের দায়িত্বশীলদের। পরের দিন থেকে ক্রমান্বয়ের মার্কিন দূতাবাস কর্মকর্তাদের সবার সঙ্গে পরিচিতি সম্পন্ন করেছেন। অনানুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকও করেছেন বেশ কয়েকটি। পরিচিত হয়েছেন মার্কিন উন্নয়ন সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গেও।

তবে এসব বিষয়ে কথা বলতে রাজি নন দূতাবাসের কোনো কর্মকর্তা। মার্কিন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার একটি সূত্রমতে, এসব সাক্ষাতে ঢাকায় দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়ে নিজে খুশি বলে জানিয়েছেন বার্নিকাট। দৃঢ়ভাবে আশা করেছেন সব জটিলতা কাটিয়ে উন্নয়ন সহযোগিতা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে ক্রেডেনশিয়াল জমা দেওয়ার তারিখ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যে কোনো দিন নির্ধারিত হবে। দূতাবাস সূত্রের খবর, পরিচয়পত্র জমা দেওয়ার পরই গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট।এদিকে বার্নিকাটের কার্যকালে দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আশাবাদের কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুয়ায়ূন কবির ও সদ্য সাবেক আকরামুল কাদের।

উভয় ড্যান মজীনা ও বার্নিকাটকে ভালো কূটনীতিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে হুয়ায়ূন কবির বলেছেন, মজীনার ব্যক্তিত্ব ছিল উচ্ছ্বাসপূর্ণ। নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত খুব সাবধানে পেশাগতভাবে একটি শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাবেন বলে মনে হচ্ছে। সব মিলিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক কতটা শক্তিশালী করতে পারবেন সেটি দেখার অপেক্ষায় আছি।

আকরামুল কাদের বলেছেন, ব্যক্তিগতভাবে বার্নিকাট ও মজীনা বেশ ভালো বন্ধু। তবে বার্নিকাটকে অনেক বেশি প্রফেশনাল ও স্টেট ফরোয়ার্ড মনে হয়। অন্যদিকে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে বার্নিকাটকে নিয়ে রয়েছে আগ্রহ। কারণ ধারাবাহিকভাবেই এখানে দায়িত্ব পালন করা কূটনীতিকরা রাজনৈতিক সংকটে নানান ভূমিকায় আবির্ভূত হন এবং এই ভূমিকার ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে থাকে মার্কিন দূতাবাস।

বর্তমানে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষগুলো থেকেও বার্নিকাটকে দেখা হচ্ছে বিশেষ দৃষ্টিতে। তারা বার্নিকাটের মার্কিন সিনেটের শুনানিতে দেওয়া বক্তব্যকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। কেননা সেই শুনানিতে বার্নিকাট এখানকার জবাবদিহিতার প্রসার এবং মানবাধিকার ও গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে কঠোর পরিশ্রম করার কথা উল্লেখ করেছেন ।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!