বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ বলেছে, প্রধান দুই দলের নেতাদের সঙ্গে তারা যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে। দুই দল যাতে তাদের মতপার্থক্যের অবসান ঘটাতে পারে, সে চেষ্টা করবে। গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন জাতিসংঘ মহাসচিবের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক।
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে। অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে…তবে তিনি বলেছেন, এমন ঘটনায় তিনি জড়িত নন। বিরোধী দলের কার্যালয়ের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে এবং সরকার মূলত বিক্ষোভকারীদের ওপর নিপীড়ন চালাচ্ছে। এসব ঘটনায় মহাসচিবের প্রতিক্রিয়া কী? কোনো অগ্রগতি কি আছে বা জাতিসংঘ কি মধ্যস্থতা করার কোনো চেষ্টা করছে?
এসব প্রশ্নের জবাবে মহাসচিবের উপ-মুখপাত্র বলেন, “বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা উদ্বেগ জানিয়েছি। আপনারা জানেন, জাতিসংঘের রাজনৈতিক বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাসহ অন্য কর্মকর্তারা দফায় দফায় বাংলাদেশ সফর করেছেন। সেখানকার নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছেন।” তিনি আরও বলেন, “আপনারা জানেন যে, আমরা আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। কিন্তু তাতে কাজ হচ্ছে না এবং সেখানে সহিংসতা চলছে।”
শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ও সমাবেশ করতে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি জাতিসংঘ আগেও আহ্বান জানিয়েছে এবং তা অব্যাহত আছে উল্লেখ করে ফারহান হক বলেন, “এ ছাড়া, প্রধান দুই দলের নেতাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ অব্যাহত রাখব। তারা যাতে তাদের মতপার্থক্যের অবসান ঘটাতে পারেন, সে চেষ্টা করা হবে।”
চলমান পরিস্থিতির কোনো প্রভাব জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ভূমিকার ওপর পড়বে কি না, তা জানতে চান ওই সাংবাদিক। এ বিষয়ে মহাসচিবের উপ-মুখপাত্র বলেন, জাতিসংঘ শান্তি মিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কোনো সম্পর্ক নেই।