আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মেরে, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা বিঘ্নিত করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কী চান বা কী পাবেন- তা জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ প্রশ্ন করেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি তার বক্তৃতায় পরীক্ষার মধ্যে কর্মসূচি না দিতে খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানান।
বিএনপি জোটের কর্মসূচির মধ্যেই শান্তিপূর্ণ পরীক্ষা সম্পন্ন হচ্ছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী পরীক্ষার মধ্যে কর্মসূচি না দিতে খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, গণতন্ত্রের কথা বলে মানুষ পুড়িয়ে মারছেন, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা বিঘ্নিত করছেন। তিনি (খালেদা জিয়া) আসলে কী চান? তার ছেলে মারা গেল, আমি সহানুভূতি জানাতে গেলাম। তিনি তার কার্যালয়ে তালা মেরে দিলেন। এরকম অভদ্রতা কেউ করেছে কিনা জানা নেই।
বিএনপি ও তার নেত্রী দেশ ও মানুষের ভালো দেখতে পারেন না অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে দেখে তাদের সহ্য হচ্ছে না। আর সেজন্য দেশের মানুষ পুড়িয়ে মারছে। এ সব সহিংসতার টাকা তারা কোথা থেকে পাচ্ছে? তারা আইএসের মতো জঙ্গি কায়দায় মানুষ মারছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যারা পুড়ে মারা যাচ্ছে তাদের কেমন করুণ মৃত্যু হচ্ছে তা কি তারা বোঝেন? আর যারা বেঁচে যাচ্ছেন তাদের কী যে জ্বালা নিয়ে থাকতে হচ্ছে, তাও কি তারা বোঝেন? তারা ভবিষ্যতে কী করবে?
দেশের মানুষের প্রতি জিঘাংসা থেকেই খালেদা পুড়িয়ে মারার নির্দেশ দিচ্ছেন কিনা প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি অবরোধ ডেকে বসেই আছেন। পুত্রবিয়োগের শোকও তাকে টলাতে পারলো না। ছেলের লাশ বাড়িতেও নেওয়া হয়নি। কতটা নিষ্ঠুর তিনি।
খালেদা জিয়া ‘হিরোইনের’ মতো কার্যালয়ে বসে আছেন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, বিভিন্ন দলের নেতারা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলছেন। আর মানুষ পুড়িয়ে মারার নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছেন। যাকে পুত্রশোকও ছুঁয়ে যায় না, তাকে অবরোধ-সহিংসতায় মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যু টলাবে কী করে?
বিএনপি জামায়াত হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কীসের আবার পরীক্ষা’ একথা কোনো নেতাই বলতে পারেন না। আসলে মানুষের রক্তই বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রেরণা।