হরতাল-অবরোধের ঢাকার বাইরের অবস্থা খুব বিপজ্জনক বলে উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তিনি এও বলেছেন, ‘আমাদের এই পরিস্থিতির মধ্যেই চলতে হবে।’
শনিবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রযাত্রা এবং সামষ্টিক অর্থনীতির সাম্প্রতিক অবস্থান’ বিষয়ে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী মন্তব্য থেকে বিরত থাকেন। তিনি বলেন, ‘আশা করি ৭ দিনের মধ্যে পরিস্থিতির স্বাভাবিক হবে।’
এসময় সাংবাদিকরা ‘পরিস্থিতি তো স্বাভাবিক হচ্ছে না’ বলে প্রশ্ন করলে জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আশা তো চলতে থাকবেই। ঢাকার আশেপাশের জেলাগুলোর অবস্থা খুব বিপজ্জনক। ঢাকা মোটামুটি সচল আছে। এই জেলাগুলোকেও আমাদের সচল করতে হবে।’
৭ দশমিক ৩ প্রবৃদ্ধির হার বাস্তবায়ন সম্ভব হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, ‘হাইলি ডাউটফুল। হয়তো সম্ভব হবে না।’
চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যারা আন্দোলন করছে তারা বাংলাদেশের শত্রু। এটা আন্দোলন নয়। বাংলাদেশের উন্নতি ব্যাহত করার উদ্দেশ্য নিয়ে এটা করে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাজেটের আকার না বাড়লে সরকারের কার্যক্রম বাড়ানো যায় না। বর্তমানে বৈদেশিক সাহায্য কমে গেছে, এটা কাঙ্ক্ষিত ছিল না। মাথাপিচু আয় দ্বিগুণ হয়েছে। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে মাথাপিচু আয় ছিল ৫০৬ মার্কিন ডলার। ২০১৩-১৪ সালে মাথাপিচু আয় দ্বিগুণ হয়েছে। যার পরিমাণ ১১শ মার্কিন ডালার। রিজার্ভ বেড়েছে। খাদ্যশস্যের উৎপাদন বেড়েছে ৩ কোটি ৮১ লাখ টন। বিদ্যুৎ খাতে প্রভূত: উন্নতি সাধিত হয়েছে। এই খাতে উৎপাদন ২০০৫ -০৬ অর্থবছরে ছিল ৩ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াট। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ২৮৩ মেগাওয়াট।’
তিনি বলেন, ‘শিল্প খাত সম্পর্কে কিছু বলতে চাই না। দেশের প্রবৃদ্ধির হার কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছাতে দিতে চাচ্ছেন না বেগম খালেদা জিয়া।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সোশ্যাল প্রটেকশন বিএনপির আমল থেকে চলছে। তারা এটা প্রোটেকশন করেছে। আমাদের সময় অনেক এগিয়েছে। কিন্তু কিছু বুদ্ধিজীবী এটা স্বীকার করতে চায় না।’
তিনি বলেন, ‘সত্যিকার অর্থেই আইসিটি খাতে দেশে বিপ্লব সাধিত হয়েছে।’