বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের লাগাতার অবরোধ-হরতালের মধ্যে চলমান নাশকতা বন্ধে একসঙ্গে তিনটি আইন কঠোরভাবে প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার। সন্ত্রাস দমন আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন ও দ্রুত বিচার আইনের প্রয়োগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলে মত এসেছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় এ বিষয়ে একাধিক মন্ত্রী কথা বলেন বলে জানিয়েছে বৈঠক সূত্র।
এছাড়া প্রশাসনিকভাবে মোকাবেলার পাশাপাশি রাজনৈতিক ভাবেও নাশকতা মোকাবেলার বিষয়ে আলোচনা হয় মন্ত্রিসভায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতার বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে।
সূত্রটি জানায়, দেশব্যাপী চলমান নাশকতা নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনার সূত্রপাত করেন কয়েকজন মন্ত্রী। পরে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে আইনের বিষয়ে জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আইনমন্ত্রী বলেন, এসব নাশকতা মোকাবেলায় নতুন করে আইন প্রণয়নের কোনো প্রয়োজন নেই। সন্ত্রাস দমন আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন ও দ্রুত বিচার আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হলে নাশকতা বন্ধ করা যাবে। আইনমন্ত্রীর বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন বলে জানায় বৈঠক সূত্রটি।
নির্বাচনের বর্ষপূর্তির দিন গত ৫ ফেব্রুয়ারি সমাবেশ করতে না পেরে লাগাতার অবরোধ পালন করছে ২০ দলীয় জোট। বিরতি দিয়ে চলছে টানা হরতালও। এসব কর্মসূচিতে দেশব্যাপী মানুষ পুড়িয়ে মারার ঘটনাও ঘটছে। এ কারণে তিন দফা পিছিয়ে নেওয়া হয়েছে এসএসসি পরীক্ষা।
প্রশাসনিকভাবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে পরিস্থিতি মেকাবেলার পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবেও নাশকতা মোকাবেলা করা হবে। এর আগে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকেও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে জানায় সূত্র।
এছাড়া দেশব্যাপী পেট্রোলবোমায় আহতদের সুচিকিৎসার ব্যাপারেও মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হয়।
অর্থমন্ত্রীর ব্যাখ্যা
সহিংসতার মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতির ‘মারাত্মক’ ক্ষতি হচ্ছে বলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তার ব্যাখ্যা তিনি নিজেই দিয়েছেন বৈঠকে।
একজন মন্ত্রী বলেন, আন্তঃজেলা যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় সবজি, মালামালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পরিবহনে সমস্য হচ্ছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির ক্ষতি হওয়ার বিষয়টিও তিনি তুলে ধরতে চেয়েছেন।