বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অভুক্ত রয়েছেন গতকাল রাত থেকে। বিএনপি চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের পরপর দুই দফা খাবার প্রবেশ করানোর উদ্যোগ নিলেও পুলিশি বাধায় তা সম্ভব হয়নি।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত পুলিশ কোন খাবার কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেয়নি বলে জানা গেছে। খাবার না পেয়ে সারারাত কার্যালয়ের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অভুক্ত রয়েছে বলে জানা গেছে।
বুধবার মধ্যরাতে দুই যুবক দুই ব্যাগ চাল নিয়ে আসলেও তাও ভেতরে প্রবেশ করতে না দিলে তারা ফিরে যায় । আর আগে বুধবার রাত আটটা দশ মিনিটে রাতের খাবার নিয়ে কার্যালয়ের ভেতর প্রবেশকালে প্রথমে বাধা দেয় পুলিশ, তখন চালকসহ ভ্যানটিকে আটক করে নিয়ে যায় সাদা পোশাকধারী পুলিশ।
দ্বিতীয় দফায় রাত সাড়ে দশটার দিকে পুনরায় কিছু শুকনা খাবার কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করা হলে তাতেও বাধা দেয় দায়িত্বরত পুলিশ। এর কারণ জানতে চাওয়া হলে পুলিশের দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা জানান, 'ভাই, কিছু করার নেই। উপরের নির্দেশ আছে খাবার ভেতরে নিতে পারবেন না।
এ ব্যাপারে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের এক কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ খাবার কার্যালয়ে বেগম খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় নিয়োজিত সিএসএফ সদস্য, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক ও পুলিশ সদস্যরাও খেয়ে থাকেন। তবে ফের আসতে দেওয়া হবে কি না আমরা নিশ্চিত নই। তবে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের কেউ খাবারবাহী ভ্যান ফেরত পাঠানোর বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
প্রসঙ্গত, গত ৩ জানুয়ারি থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে আইনশৃক্সখলা বাহিনী অবস্থান করছেন ও কার্যালয়ের ভেতর অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন বেগম খালেদা জিয়া। বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক আইজিপি আব্দুল কাইয়ুম, মহিলা দলের সাধারন সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বেগম খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, বিশেষ সহকারী এডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ কার্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারি এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মী সিএসএফ সদস্যরা।
এর মধ্যে গত ৩০ জানুয়ারী কার্যালয়ের মোবাইল নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট, বিদ্যুৎ ও সাটেলাইট টেলিভিশন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পরে শুধুমাত্র বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হলেও বন্ধ রয়েছে বাকি সেবাগুলো।