সরকার নাশকতার দায়ে খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার না করলে জনগণই তাকে গ্রেপ্তার করে কাশিমপুর কারাগারে পাঠাবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান।
সোমবার খালেদার কার্যালয় ঘেরাওয়ের আগে শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। গুলশানের সেন্ট্রাল পার্কে বেলা ১২টার দিকে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে শাজাহান খানের নেতৃত্বে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয় অভিমুখে রওয়ানা হন শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের নেতাকর্মীরা। এসময় পার্কের পাশে দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। বর্তমানে খালেদার কার্যালয়ের সামনের সড়কে সমন্বয় পরিষদের নেতাকর্মীদের নিয়ে সমাবেশ করছেন করছেন শাহজাহান খান।
সমাবেশ থেকে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বেশ কয়েকটি কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন নৌমন্ত্রী। শাজাহান খান বলেন, খালেদা জিয়া আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারছেন। মানুষ স্বাভাবিক কাজ করতে পারছে না। শ্রমিকদের আয় কমে গেছে। এরকম চলতে থাকলে সরকার যদি তাকে গ্রেপ্তার না করে তবে জনগণই তাকে গ্রেপ্তার করে কাশিমপুর কারাগারে পাঠাবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খালেদা জিয়াকে হরতাল প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হবে বলে হুশিয়ারি দেন তিনি।
নৌ-পরিবহনমন্ত্রী জানান, হরতাল-অবারোধ প্রত্যাহার ও নাশকতা বন্ধের দাবিতে ১৮ই ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে ট্রাক মিছিল করবে শ্রমিকরা। ১৯ফেব্রুয়ারি মতিঝিল থেকে জাতীয় পতাকা হাতে শহীদ মিনার অভিমুখে পদযাত্রা করে অবরোধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হবে। এদিকে সোমবার সকাল ১০টার পর থেকে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে গুলশান-২ নম্বর এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। বেলা ১২টার কিছুক্ষণ পর তারা খালেদার কার্যালয় অভিমুখে রওয়ানা হন। বর্তমানে সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা লীগের কর্মীরা খালেদার কার্যালয়ের বাইরে অবস্থান নিয়ে শ্লোগান দিচ্ছেন।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে মহিলালীগের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী একই স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করে। ঘেরাও কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের আশাপাশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গুলশানের ৮৬ নম্বর রোডের দু’পাশে অতিরিক্ত দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ব্যারিকেড দিয়ে জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।