দেশে চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ‘উগ্রপন্থা ও অগণতান্ত্রিক’ শক্তির উত্থানের আশঙ্কা করছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জোটের পক্ষে এ আশঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘দেশে বিরোধীদলের বৈধ গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনার সব পন্থা বন্ধ করে দেওয়ার ফলে উগ্রপন্থা ও অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান হতে পারে।’
জোটের চলমান আন্দোলনের দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা অবৈধ শাসক শ্রেণির প্রতি আবারও আহবান জানাই-প্রতিহিংসা ও বিদ্বেষমূলক রাজনৈতিক অপসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষার পথে ফিরে আসুন। দেশকে বাঁচান, মানুষ বাঁচান।’
দাবি মেনে না নিলে লাগাতার হরতালসহ আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষনারও হুমকি দিয়েছেন তারা। একই সঙ্গে চলমান অবরোধ অব্যাহত ধথাকবে বলেও জানান জোট নেতারা। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের লক্ষ্যে জাতিসংঘসহ সকল পক্ষের অর্থবহ সংলাপের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে জোটের এই নীতি নির্ধারকরা বলেন, ‘আমরা সংলাপকে স্বাগত জানাই।’
তারা বলেন, ‘সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার নামে সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক কায়দায় প্রহসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নিতে চায়। তারা বাকশালের চতুর্থ সংশোধনী ও পঞ্চদশ সংশোধনী চরিত্রগতভাবে মূলত: এক ও অভিন্ন। স্বৈরতান্ত্রিক একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েমের হাতিয়ার হিসাবে সাংবিধানিক ক্যু সংগঠিত করাই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মেনিফেস্টো।’
চলমান আন্দোলন স্তব্ধ করা যাবে না উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, গণতন্ত্র মু্িক্তর এই আন্দোলনে ভোটের অধিকার, মৌলিক ও মানবাধিকার আদায়সহ সব ন্যায্য দাবি আদায়ের অপ্রতিরোধ্য গণজোয়ারকে স্তব্ধ করা যাবে না। গণমানুষের ন্যায্য আকাঙ্খাকে প্রতিহিংসার স্টীম রোলার দিয়ে কখনও দাবানো যায়না। সরকারি জুলুম-নির্যাতনের মাত্রা যত বাড়ছে দ্রোহের অগ্নি স্ফুলিঙ্গ ততো দ্রুতগতিতে দাবানলে পরিণত হচ্ছে।
আন্দোলনের চুড়ান্ত পর্যায়ে জনগণের স্বত:স্ফুর্ত বিদ্রোহই সরকারের পতন তরান্বিত করবে। বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, ‘মঙ্গলবার রাতে যশোরের মনিরামপুরে পুলিশ ক্রসফায়ারে বিএনপি কর্মী আবু সাঈদ ও বজলুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া সারাদেশে ২০ দলীয় জোটের অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গুলি করে পঙ্গু বানানো হচ্ছে প্রতিদিন, গুম করে ফেলা হচ্ছে অসংখ্য নেতা-কর্মীকে। এ পর্যন্ত প্রায় বিশ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’