ঢাকা সফররত ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিরা পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের অসত্য বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানানোর পর সংশোধনী বিবৃতি পাঠালো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে এ বিবৃতি পাঠানো হয়। এতে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সফররত সদস্যরা একটা বিষয় পরিষ্কার করে বলতে চায় যে, ১৮ ফেব্রুয়ারির ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে প্রধান আলোচ্য বিষয়ই ছিল মানবাধিকার। বাংলাদেশে শ্রমিক অধিকারসহ নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার এবং সাম্প্রতিক সহিংসতায় সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছে সফররত ইউরোপীয় পার্লামেন্ট দলের সদস্যরা।
গত বুধবারের বৈঠকের পর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিরা তার সঙ্গে বৈঠকে জানিয়েছেন, তারা বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে মোটেও উদ্বিগ্ন নয়।
কিন্তু বৃহস্পতিবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক শেষে ইউ পার্লামেন্ট প্রধিনিধি দলের নেতা দান প্রেদা সাংবাদিকদের একটি ইংরেজি দৈনিকের নাম উল্লেখ করে বলেন, আমি দেখেছি প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ইইউ মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়। আমার বক্তব্য খুব সহজ, আমরা এখানে এসেছি কারণ আমরা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন।
এই বক্তব্যের পর রাতে মন্ত্রণালয় থেকে সংশোধনী বিবৃতিটি পাঠানো হলো। তবে মূল বিতর্কের বিষয়টি এতে স্পষ্ট করা হয়নি। বিশেষ করে বিচার বহির্ভূতহত্যা.গুম ,খুন সহ আইনশৃংখলাবাহিনীর নৃশংস ও বেপরোয়া আচরনের ব্যাপারে ইউ প্রতিনিধীদল বার বার উদ্বেগ প্রকাশ করলেও এই বিষয়টি সংশোধন কৃত বিবৃতিতেও অতি চাতুরতার সাথে এড়িয়ে গেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়।এ ধরনের মিথ্যাচার বিশ্বাঙ্গনে অত্যন্ত অপছন্দনীয় এবং আমাদের দেশের জন্য চরম অবমাননাকর বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।ইতিপূর্বেও শেখ হাসিনার ব্রিটেন সফরকালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জেমস ক্যামরনের বরাত দিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাহমুদ আলীর মিথ্যাচার ব্রিটেনের প্রতিবাদে ধরা পড়ে যায় এবং অত্যন্ত বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে বাংলাদেশ সরকার।