ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ রাজনৈতিক সংকট নিরসনে বাংলাদেশকে সহায়তার প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরীর ।
সব রাজনৈতিক দলের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে মতপ্রকাশের পরিবেশ নিশ্চিত ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন জন কেরি।
বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে জন কেরির সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীর বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকের আলোচনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলা হয়েছে।
জন কেরি বলেন, শান্তিপূর্ণ উপায়ে চলমান সহিংসতার অবসানে বাংলাদেশ সরকারের আশু পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সব রাজনৈতিক দলের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে মতপ্রকাশের পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারের ভূমিকা আশা করেন তিনি। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপরও প্রভূত গুরুত্ব দিয়েছেন জন কেরি।অবিলম্বে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে চলমান সংকট নিরসনে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহবান জানান মার্কিন পররাষ্ট্র জন কেরী।
দশম সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তির কর্মসূচি পালনে বাধা পেয়ে গত ৫ জানুয়ারি সারা দেশে লাগাতার অবরোধের ডাক দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। অবরোধের পাশাপাশি হরতালও আহ্বান করছে তারা। চলমান এই রাজনৈতিক সংকট নিরসনে বাংলাদেশকে আন্তরিক সহায়তার প্রস্তাব দেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠকে রাজনৈতিক অস্থিরতা ছাড়া দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় এবং আঞ্চলিক বিভিন্ন ইস্যুতে বিস্তারিত কথা হয়েছে বলে পররাষ্ট্র দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন জন কেরি। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন কেরি ও মাহমুদ আলী। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলা এবং শ্রমিকদের পরিস্থিতির উন্নয়ন সংক্রান্ত দুই দেশের অভিন্ন প্রচেষ্টা নিয়েও কথা বলেন তারা। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব ক্রমশ বাড়ছে-মন্তব্য করে বাংলাদেশের মৌলিক স্বাধীনতা সুরক্ষার ওপর জোর দেন জন কেরি।