“একাত্তরের বাঘা ভাই, আমরা তোমায় ভুলি নাই”, “আমাদের দাবী একটাই, সোনার বাংলায় শান্তি চাই”, “আলোচনায় বসতে হবে, অবরোধ প্রত্যাহার করতে হবে” কর্মীদের এমন অনেক স্লোগান আর গণসংগীতের মধ্য দিয়ে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচীর ২৬ তম দিন পার করলেন মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তীর সমরনায়ক বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্ত,ম।
বঙ্গবীর বলেন, “দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সরকারের অতি নিয়ন্ত্রণের কারণে শহীদ মিনারে যেতে মানুষ আর আগের মতো আবেগাপ্লত নয়। এবারে শহীদ মিনারে মানুষের অনেক কম উপস্থিতি সেকথাই প্রমাণ করছে।”
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর সাম্প্রতিক সফর সম্পর্কে তিনি বলে, “মমতা ব্যনার্জীর আশ্বাসে আমরা আস্থা রাখতে চাই। কিন্তু তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং এর সাথে তখন তিনি আসলে হয়তো আমরা তিস্তার ৫১ শতাংশ পানি পেতে পারতাম, এখন ৩০ শতাংশও পাবো কিনা সন্দেহ। ২১ ফেব্রুয়ারীর মতো এক ঐতিহাসিক ক্ষণে বংলা ভাষাভাষি মানুষের নেতা হিসেবে এটা তার জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্মান হতে পারতো, কিন্তু রাজনৈতিক হানাহানির কারণে সেটা সম্ভব হলো না।
তাছাড়া ৫ ফেব্রয়ারির নির্বাচনী নকশার কারণে গণভবনে এখন আর বাংলাদেশ, বাংলা ভাষা ও বাঙালীর হৃদয়ের স্পর্শ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।”
প্রতিদিনের মতোই শত শত মানুষ তার সাথে সংহতি প্রকাশ করতে আসেন। কর্মসূচীর ২৬ তম দিনে রবিবার কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, কেন্দ্রীয় নেতা ফরিদ আহমেদ, যুব আন্দোলনের আহবায়ক হাবিবুন নবী সোহেল, আলী হোসেন মণ্ডল, আতিকুর রহমান সাদেক, ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক রিফাতুল ইসলাম দীপ, সাইফুল ইসলাম শিমুল, সবুজ, সম্রাটসহ শতাধিক নেতা-কর্মী বঙ্গবীরের সাথে অবস্থান করেছেন।