DMCA.com Protection Status
title="৭

সাদেক হোসেন খোকাই ফাঁস করেছেন তার সাথে মান্নার ভাইবার ফোনালাপ!

manna-khoka-300x181ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ   সাম্প্রতিক সুশীল ও নাগরিক সমাজের সদস্য মাহমুদুর রহমান মান্নার দুটো টেলিফোনালাপ ফাঁস হয়ে গেছে। দুটো কথোপকথনেই ভাইবারের বিষয়টি স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। এক্ষেত্রে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে বেশ সতর্ক দেখা গিয়েছে। সাদেক হোসেন খোকার সাথে তিনি বলছেন, ভাইবার বলে তিনি এত কথা বলছেন। সাধারণ ফোনে কথা বলতে তার ভয় হয়। অপরদিকে তারেক রহমানকে নির্যাতনকারী এক লে. কর্নেলের সাথেও মান্নার ফোনালাপে ভাইবারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মান্না।

গোপন টেলিফোন আলাপের একটিতে বিএনপি নেতা খোকাকে মান্না বলেছেন-‘ইউনিভার্সিটিতে মারামারিতে গেলো দুই তিনটা। কিন্তু এতে পুরো বাংলাদেশ কেঁপে যাবে’। অর্থাৎ, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই তিনটা ছাত্রের লাশ চাচ্ছেন, যাতে সরকার ও পুরো বাংলাদেশ কেঁপে উঠবে! আর এভাবেই ওনারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে চান।

অপরদিকে, বিশেষজ্ঞদের অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে ভাইবার কথোপকথন রেকর্ডের প্রযুক্তি বাংলাদেশে নাই। তাহলে প্রশ্ন আসে কীভাবে এই কথোপকথন কারা রেকর্ড করে ছেড়েছে? এক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্যসূত্রে জানা যায়, বিএনপি নেতার সাদেক হোসেন খোকার ফোনটি থেকেই মান্নার সাথে কথোপকথনটি রেকর্ড হয়েছে। একাধিক বিএনপি নেতা বলেন, সাদেক হোসেন খোকা যেভাবে কথা বলছিলেন তাতে মনে হচ্ছিলো তিনি সরকারি দলের লোক। চলমান আন্দোলনে তিনি হতাশার কথা উল্লেখ করেছেন কয়েকবার। আন্দোলন আর চালিয়ে নেয়া যাচ্ছে না বলেছেন তিনি। সন্দেহটি আরও পাকা হয় যে তারেক রহমানকে নির্যাতনকারী লে. কর্নেলের সাথে মান্নার ফোনালাপটিও একই সূত্র থেকে আসে। অর্থ্যাৎ সাদেক হোসেন খোকার সাথে ঐ অফিসারের যোগাযোগ রয়েছে। চলমান আন্দোলনকে নসাৎ করতে সাদেক হোসেন খোকা একটি চক্রের সাথে মিলে এই আত্মঘাতী কাজটি করেছেন বলে দাবী করে বিএনপি সূত্রটি। সূত্রটি আরও জানায়, মামলা থেকে অব্যহতি পেতেই খোকা গোপনে সরকারের এজেন্ট হয়ে কাজ করছেন।ইতিপূর্বেও বেশ কয়েকবার জনাব খোকার সততা এং নিষ্ঠা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।

এদিকে একুশে ফেব্রুয়ারির আগে হওয়া খোকার সাথে কথোপকথন ফাঁসের আভাস পাওয়া যাচ্ছিলো আগে থেকেই। যে কারণে মান্না তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান যে খোকার মালিকানাধীন টিভি বাংলা ভিশন কর্তৃপক্ষ তাকে সেখানে যেতে নিষেধ করেছে।manna-fb

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন সরকারের কাছে ভাইবার রেকর্ড করার প্রযুক্তি থাকলে তারা কিছুদিন আগে ভাইবার, ট্যাঙ্গো বন্ধ করে দিতো না। ভাইবার ফোনালাপের দুপক্ষের কারো সহযোগিতা ছাড়া এইসব কথোপকথন রেকর্ড বাইরে আসা অসম্ভব। এই নিয়ে সর্ব মহলে চলছে তোলপাড়।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!