অতি সম্প্রতি সম্পাদক পরিষদের দেওয়া বিবৃতিকে সরকারের পক্ষ থেকে বাস্তবতা বিবর্জিত, সত্যের অপলাপ, পক্ষপাতমূলক, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করা হয়েছে।
সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে বুধবার সন্ধ্যায় ‘সম্পাদক পরিষদের নামে প্রকাশিত বিবৃতির বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য’ শীর্ষক এই প্রতিক্রিয়া গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। সম্পাদক পরিষদের বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘কোনো গণমাধ্যমের প্রকাশনা বা সম্প্রচার বিষয়ে সংসদ যদি আলোচনা বা সমালোচনা করে, তা গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপ নয়।
রাষ্ট্রের সকল বিষয়ে আলোচনা করার অধিকার সংরক্ষণ করে সংসদ।’ মঙ্গলবার প্রিন্ট মিডিয়ার সম্পাদকদের নিয়ে গঠিত সম্পাদক পরিষদ নামের একটি সংগঠন লিখিত বিবৃতির মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলা হয়। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে এই বিবৃতি দেওয়া হলো।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘দেশ যখন গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতা ও সম্প্রসারমান যুগে প্রবেশ করেছে, তখন সম্পাদক পরিষদের নামে প্রদত্ত বিবৃতি দেশের সঠিক চিত্র প্রতিফলনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এটি অনাকাঙ্খিত ও অত্যন্ত দুঃখজনক। অতীতে সাংবাদিকদের ওপর প্রশাসনের চাপ পরিলক্ষিত হতো। বর্তমান সরকার তা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে। উপরন্তু মাফিয়া, জঙ্গি ও ধর্মাশ্রয়ী সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার থেকে সাংবাদিকদের বাঁচাতে দৃঢ় ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন।’
বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্মরণকালের সবচাইতে স্বাধীনভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘২০০৯ সাল থেকে শুরু করে গত ৬ বছর ২ মাসে সরকার গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপমূলক কোনো আইন প্রণয়ন করেনি। বরং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রেও সাংবাদিক গ্রেফতার আইন সংশোধন করে শিথিল করেছে।
সুতরাং এটি স্পষ্ট যে, সংবাদপত্র বা ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার মতো কোনো আইন এ মুহূর্তে দেশে নেই।’ বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার তথা তথ্য মন্ত্রণালয় গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।
বর্তমান সরকার বিশ্বাস করে গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম একে অপরের সম্পূরক। তাই সরকার গণমাধ্যমকে সক্রিয়, উন্মুক্ত ও গতিশীল রাখতে সদা সচেষ্ট।’