বিএনপি-জামায়াত জোট আইএস এবং বিশ্বের অন্যান্য ভয়ংকর জঙ্গিগোষ্ঠীর মতো ই,এমন তথ্য বিদেশি কূটনীতিকদের জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী।
রোববার বিকেলে ঢাকায় অবস্থিত ১৬টি দেশের রাষ্ট্রদূতদের বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি অবহিত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এসময় তিনি তাদের এমন তথ্য জানান।
এদিকে বিদেশি কূটনীতিকরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে সংলাপের তাগিদ দিয়েছেন। পাশাপাশি বর্তমান সংঘাত কবে বন্ধ হবে সে বিষয়েও জানতে চেয়েছেন।
রোববার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ঢাকায় অবস্থিত অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ডেনমার্ক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, কোরিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, তুর্কি, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও চার্জ দ্য এফেয়ার্জদেরকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি অবহিত করেন।
বাংলাদেশের পক্ষে ওই ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, গওহর রিজভী, প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং সচিব মো. শহীদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী কূটনীতিকদের বলেন, ‘গত ৫ জানুয়ারি থেকে বিএনপি-জামায়াত জোট সারাদেশে সহিংস কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সরকার সহিংসতা বন্ধ করতে এবং জনগণের নিরাপত্তা দিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। এই অঙ্গীকার সরকার নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট সবাইকে মুখোমুখি সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাদের সহিংস কর্মকাণ্ডের কারণে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িক চেতনা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। গণতন্ত্রে কখনই সহিংসতা কাম্য নয়। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট আইএসআইএস এবং বিশ্বের অন্য জঙ্গিগোষ্ঠীর মতো নিরীহ জনগণ ও যানবাহনের ওপর পেট্রলবোমা ছুড়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করছে।’
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সহিংসতা বন্ধে বিদেশিদের কাছে সহায়তা কামনা করেন। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কখনও আলাপ হতে পারে না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তে এফবিআই সহযোগিতা করতে চায় বলে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতাকে ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করছে।’
বাংলাদেশে অবস্থান করা বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনে সরকারকে আবারও সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি বর্তমান সহিংসতা কবে বন্ধ হবে সে বিষয়ে জানতে চেয়েছে।
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সবগুলো দেশের পক্ষে ঢাকায় অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন থেকে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে বিদেশিদের মনোভাব প্রকাশ করা হয়। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনে সরকারকে সংলাপের আহ্বান জানাতে হবে। সহিংসতা বন্ধ করতে করতে হবে।’
বার্তায় আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সাধারনের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, মানবাধিকার রক্ষা এবং গণতন্ত্রের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থা অর্জনের পথ বের করতে হবে। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নিরসন করতে হবে।’