প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতার লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী। একই সঙ্গে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশ সফরে না আসারও আহ্বান জানান।
বুধবার দুপুরে অবস্থান কর্মসূচির ৩৬ তম দিনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তিনি বলেন, কঠোর নিারপত্তার মধ্যে অভিজিৎ খুন হলো তাতে আমি বিষ্মিত। শুনেছি পেট্রোলবোমা যারা মারছে তাদেরকে তিনশ’-চারশ’ গজ দূর থেকে পুলিশ গুলি করছে। অথচ অভিজিতকে খুন করার সময় সাত আট গজ দূরে পুলিশ ছিল। এত কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে যদি অভিজিতকে হত্যা করা হতে পারে তাহলে আমার বোনের (শেখ হাসিনা) জীবনের নিরাপত্তা দেবে কে? তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পাশে যেসব শয়তানগুলো আছে তারা ভাল নয়। তারা কখন কি করে ফেলে ঠিক নাই। আমি প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে এখন উদ্বিগ্ন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশ সফরে আসতে বারণ করেছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। বলেছেন, ‘শুনেছি কয়েক দিনের মধ্যে ঢাকায় আসবেন মোদি। আমি বলবো অবৈধ সরকারের সঙ্গে দেখা করতে আপনি এ দেশে আসবেন না। আসলে ফুল পাবেন না, মালা পাবেন না, পাবেন শুধু জ্বালা। তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত নেতা। আর বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন সরকারের ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি। এ অবস্থায় তিনি বাংলাদেশে এলে অভ্যর্থনার পরিবর্তে নিন্দা পাবেন “
মোদির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে যতক্ষণ পর্যন্ত শান্তি ফিরে না আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত বর্তমান সরকারের সঙ্গে আপনি যোগাযোগ রাখবেন না।’ প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনি বিদেশিদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন, তাহলে স্বদেশিদের সঙ্গে আলোচনা করতে আপনার সমস্যা কোথায়। আমি তো অনেক আগেই থেকে বলে আসছি দেশের শান্তির জন্য প্রয়োজনে চারালেরও সঙ্গে আলোচনায় বসুন। সরকার মোদিকে যে আমন্ত্রণ জানিয়েছে এতে নৈতিক সমর্থন না দিতেও তিনি আহ্বান জানান।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, পরের শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকার জন্য দেশ স্বাধীন করিনি। খালেদা জিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানা সম্পর্কে কাদের সিদ্দিকী বলেন, রাজনীতি করলে গ্রেফতার হতেই হয়। তবে সরকার যদি এখন খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করে তাহলে সরকারের পতন আরো ত্বরান্বীত হবে।