গুলশান থানায় দায়ের করা সরকার উৎখাত ষঢ়যন্ত্রের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার বিরুদ্ধে আবার দশ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এর আগে সরকার উৎখাতের উদ্দেশ্যে সেনা বিদ্রোহে প্ররোচনার অভিযোগে দায়ের করা অপর একটি মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে ছিলেন তিনি। রিমান্ড শেষে শনিবার দুপুরে মান্নাকে ঢাকার সিএমএম (চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট) আদালতে হাজির করা হয় তাকে।
এ সময় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে পুনরায় দশদিনের রিমান্ড আবেদন জানায় গুলশান থানা পুলিশ। দুপুর তিনটায় অনুষ্ঠিত রিমান্ড শুনানিতে এ আবেদন মঞ্জুর করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল হক। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না এবং বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে ওই রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়।
গত ৫ মার্চ সন্ধ্যায় গুলশান থানার অপারেশন অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এসআই শেখ সোহেল রানা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে মান্না-খোকার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুমতি চায় পুলিশ। ৪ মার্চ অনুমোদনের পরদিন মামলাটি দায়ের করা হয়।
মান্না-খোকা ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার ঘটনায় ২৩ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে আটক করা হয় বলে দাবি করেন তার পরিবারের সদস্যরা। তবে ওই সময় পুলিশ বিষয়টি অস্বীকার করে। পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ মান্নাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, সেনা বিদ্রোহে উস্কানি দিয়ে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি মামলায় ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ধানমণ্ডি থেকে মান্নাকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
পরবর্তীতে ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় তার বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হলে তা মঞ্জুর করেন আদালত। এ দুই মামলা ছাড়াও মান্নার বিরুদ্ধে বাদী হয়ে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে একটি মামলা দায়ের করেন গুলশান থানার অপারেশন অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এসআই শেখ সোহেল রানা।