আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘খালেদার বিরুদ্ধে খুনের মামলা হয়েছে। তাদের কোনো ক্ষমা নেই। এদেশের মাটিতেই তার বিচার হবে। জঙ্গিবাদ আমরা মেনে নেবো না। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সকলকে রুখে দিতে হবে। খালেদা জিয়াকে শাস্তি পেতেই হবেই। জঙ্গি নেত্রীর বিচার হবেই হবে।’ শনিবার ৭ই মার্চ উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগ আয়োজিত জনসমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ স্মরনে আয়োজিত এই জনসভাটি পরিনত হয় বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি বিষেধগার প্রকাশের সভায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অফিসের মধ্যে বসে মানুষ হত্যা করবেন। আমারা সহ্য করবো না।’ তিনি বলেন, ‘যারা এদের সমর্থন দেবেন তারাও সমান অপরাধী। বাংলাদেশের মানুষ হত্যা করা কোনোভাবেই মেনে নেবো না। খালেদার বিরুদ্ধে খুনের মামলা হয়েছে। তাদের কোনো ক্ষমা নেই। এদেশের মাটিতেই তার বিচার হবে। জঙ্গিবাদ আমরা মেনে নেবো না। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সকলকে রুখে দিতে হবে। খালেদা জিয়াকে শাস্তি পেতেই হবেই। জঙ্গি নেত্রীর বিচার হবেই হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘২১ বছর মানুষ স্বাধীনতার ইতিহাস উচ্চারণ করতে পারেনি। ২১ বছর বঙ্গবন্ধুর ভাষন বাজাতে দেয়া হয়নি। কিন্তু কেউ দমিয়ে রাখতে পারে না। তা আজকে সৃষ্টি করেছে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘দেশের অনেক জায়াগায় বোমা হামলা করেছেন। কারা করেছেন বেগম খালেদা জিয়া করেছেন। একটি বিশেষ দল নির্বাচনে আসেনি। তাই তিনি নির্বাচনে আসেননি। তিনি নির্বাচনে না এসে শত মানুষ পুড়িয়ে মেরেছেন। কোরাআন শরিফ পুড়িয়েছেন। প্রিজাইডিং অফিসারকে হত্যা করেছেন।
তিনি জিঙ্গবাদী কর্মকাণ্ড করেও নির্বাচন ঠেকাতে পারেননি। নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন চেয়েছিল। ওই জঙ্গি নেত্রীর অশান্তির আগুনে বাংলাদেশের মানুষ পুড়ছে। তিনি অফিসে গিয়ে বসে আছেন। উনি ওখানে বসে কী করেন মানুষ জানেন না। তিনি ড্রাইভার হেলপারসহ সাধারণ পুড়িয়ে মেরেছেন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন তিনি গত বছরের মতো আবার সেই খেলা খেলছেন। জঙ্গি নেত্রীর কথা দেশের মানুষ মানে না। হরতাল কেউ মানেন না।’ তিনি আরো বলেন, ‘ওনার বিরুদ্ধে জিয়া অর্ফানেজের নামে এতিমদের টাকা দুর্নীতি করে মেরে দিয়েছিলেন। ওই মামলা দিয়ে গেছেন ফখরুদ্দিন ও মইনউদ্দিন। উনি ৬০ দিন হাজিরা দেননি। মাত্র ৭ দিন গিয়েছেন। তাও গিয়েছেন ক্যাডারবাহিনী নিয়ে। তিনি এমপি ছবি বিশ্বাসের গাড়িতে হামলা করেছেন। উনি যদি আত্মবিশ্বাসী মনে করেন তা হলে উনি কেন কোর্টে গিয়ে মামলা মোকাবেলা করেন না। সবাই বলে চোরের মন পুলিশ পুলিশ। নানা অজুহাত দিয়ে উনি কোর্টে যান না। উনি বলেন নিরাপত্তা নেই। পুলিশ দিলে বলে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। তাহলে যাবটা কোথায়? প্রত্যেক জেলায় জেলায় ওনার দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন।’