গেলো সপ্তাহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দুষ্কৃতকারীদের হামলার সময় পুলিশের বিরুদ্ধে চরম নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনেছেন নিহত ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়ের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা।
আমেরিকা থেকে এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, তার ও তার স্বামীর ওপর হামলার সময় তিনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাননি। তার ভাষায়, আমি ও অভিজিৎ যখন নিষ্ঠুর হামলার শিকার হচ্ছিলাম, স্থানীয় পুলিশ আমাদের খুব কাছেই দাঁড়িয়ে ছিল। কিন্তু তারা কিছুই করেনি।মার্কিন সরকার এই হামলায় অত্যন্ত উদ্বিগ্ন এবং প্রকৃত খুনিদের ধরতে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক সংস্থা সেন্টার ফর এনকোয়ারি (সিএফআই) বিবৃতিটি প্রকাশ করে। সেখানে বন্যা লিখেছেন, “আমার স্বামী অভিজিৎ রায় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদ নিয়ে লেখালেখি করেছেন। তিনি ধর্মীয় মৌলবাদের সমালোচনাও করেছেন। এর কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তার স্ত্রী, সহকর্মী লেখক ও মুক্তমনা হিসেবে আমি এ ভয়াবহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।”
তিনি বলেন, “ওই হামলা কেবল একজন মানুষের ওপরই ছিল না, ছিল সমগ্র মানবতা ও বাকস্বাধীনতার ওপর হামলা।” তিনি আরও বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যামপাস ঐতিহাসিকভাবেই প্রগতিশীল আন্দোলনের স্থান। অনেকবার হুমকি পেলেও আমরা কল্পনাও করতে পারিনি, এরকম সুরক্ষিত জায়গায় এমন ঘৃণ্য অপরাধ সংঘটিত হতে পারে। তিনি বাংলাদেশ সরকারের কাছে খুনিদের ধরে বিচারের আওতায় আনতে সরকারের সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগের দাবি জানান।”
বন্যা আরও বলেন, “আমি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধের আহ্বান জানাই। এখানে লেখকরা নিহত হন, কিন্তু হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনা হয় না। আমি পুরো বিশ্বের প্রতি আমাদের বিচারের দাবির সঙ্গে শামিল হওয়ার আহ্বান জানাই।”