ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজু,যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকেঃ বাংলাদেশের অব্যাহত মানবাধিকার লংঘন এবং সরকারের অগনতান্ত্রীক আচরন ভয়াবহ আকার ধারন করেছে।বিএনপির মূখপাত্র এবং সাবেক মন্ত্রী জনাব সালাহউদ্দিন আহমেদকে প্রায় ২দিন পূর্বে সরকারের আইনশৃংখলা তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
যেকোনো আটক ব্যক্তিকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদালতে পেশ করার বিধান থাকলেও এবং এই ব্যাপারে হাইকো্টের সুনির্দৃিষ্ট নির্দেশনা থাকলেও সরকারের পুলিশ বাহিনী তা মানছেনা।মাত্র কয়েকদিন আগে বিরোধী দলীয় নেতা মান্নাকে একই স্টাইলে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ।প্রথমে অস্বিকার করলেও দেশে এবং দেশের বাইরের প্রচন্ড চাপে ২২ঘন্টা পর তাকে পুলিশ ষ্টেশনে হস্তান্তর করতে বাধ্য হয় সরকার।
বিগত দিনে বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী,চৌধুরী আলম সহ বিএনপির শতশত নেতা এভাবে গুম হয়েছে সরকারী বাহিনীর হাতে,তাদের আর কখনই পাওয়া যায়নি।
বিএপির মূখপাত্র এবং সাবেক মন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদের নিরাপত্তা নিয়ে তার পরিবার, বিএনপি চেয়ার পারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান সহ সমগ্র দেশবাসী আজ গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন এবং চিন্তিত।
দেশের বিরোধী দলের মত প্রকাশের উপর এহেন অগনতান্ত্রিক আচরন এবং আইনের শাসনের অনুপস্থিতিতে বিশ্বের খ্যাতনামা মানবাধিকার সংগঠন সমূহ,জাতিসংঘ,ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বহু দেশ ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং দ্রুত এই অবস্থা থেকে উত্তোরনের দাবীতে সোচ্চার হয়েছে।
এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক বৈদেশিক উপদেস্টা ও বৈদেশিক দূত জাহিদ এফ সরদার সাদী আজ মার্কিন ডেমোক্র্যাট দলের জাতীয় চেয়ারপারসন কংগ্রসওম্যান ডেবী ওয়াস্যারম্যান শুলজ এর সাথে জরুরী ভিত্তিতে তার ওয়াশিংটন ডিসির কংগ্রেস অফিসে দেখা করেন।
জনাব সাদী তাকে এ বিষয়ে সকল তথ্য উপাত্ত দেন এবং বলেন,” বাংলাদেশে বর্তমানে এক ভয়াবহ অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। জনগনের জান মালের কোনো নিরাপত্তা নাই। সরকার তার ক্ষমতা অবৈধ ভাবে কুক্ষিগত করে রাখার জন্য একের পর এক বিরোধী দল এর নেতা কর্মীদের ধরে নিয়ে গুম খুন করছে। যার ই প্রেক্ষিতে এর আগেও ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম এর মতো বিরোধী দলের নেতাদের ও গুম করেছে সরকার এর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বাংলাদেশে এখন স্বাভাবিক মৃত্যুর কোনো গ্যারান্টি নাই। বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড এখন সরকারী বাহিনীর নিত্য নৈমিত্তিক কাজে পরিনত হয়েছে। সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো সরকার তাদের নিজেদের লোকজন দিয়ে নিয়ন্ত্রন করছে।। মানুষের ভাবপ্রকাশ আজ স্তব্ধ হয়ে গেছে মৃত্য ভয়ে। বাংলাদেশ যেন এক মৃত্যুপুরীতে পরিনত হয়েছে।“
জনাব সাদী কংগ্রেস ওম্যান ডেবীকে উদ্দেশ্য করে আর ও বলেন,” আপনি আমেরিকার মতো গণতান্ত্রিক দেশের অন্যতম দলের প্রধান , তাই আপনার মাধ্যমে আপনার দলের সিনেটর এবং কংগ্রেসম্যান দের জানাতে চাই, বাংলাদেশের জনগনের মানবাধিকার আজ লঙ্ঘিত ও বিপন্ন,আপনারা অবিলম্বে আশু পদক্ষেপ নিন।
কংগ্রেসওম্যান ডেবী জনাব সাদীর কথা মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দ্রত ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্যোগ নেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।