ঢাকা মহানগর বিএনপি আহবায়ক মির্জা আব্বাস এবং সদস্য সচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল আজ এক বিবৃতিতে দলের যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে উত্তরার একটি বাড়িহতে আইন শৃংখলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে তুলে নেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বুধবার গণমাধ্যমে এক বিবৃতিতে তারা এ কথা বলেন। নেতৃদ্বয় বলেছেন, অবিলম্বে সালাহ উদ্দিনকে সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় তার পরিবারের কাছে ফেরত দিতে হবে। নইলে এর পরিণতি শুভ হবে না। অন্যথায় এ জন্যে একদিন তাদেরকে কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে। তারা বলেন, ১৯৭৪ সাল থেকে বাংলাদেশে ভয়ঙ্কর গুমের রাজনীতি আওয়ামী লীগ শুরু করেছে। রাজনীতির সকল স্বাভাবিক গতি পদদলিত করে সরকার যে নজির স্থাপন করেছে, তা মানবাধিকারের জঘন্যতম লক্সঘন। আন্দোলন ঠেকাতে যে হামলা-মামলা, নির্যাতন ও গুম চলছে তা একনায়ক হিটলারের নাৎসীবাহিনীর বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে।
মির্জা আব্বাস ও হাবিব উন নবী খান বলেন, সরকারের জনসমর্থন শুন্যের কোঠায়। জনসমর্থহীন অবৈধ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে গুমের রাজনীতি শুরু করেছে। এর আগে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী, ওয়ার্ড কাউন্সিলর চৌধুরী আলমসহ অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গুম-হত্যা করা হয়েছে। আমরা জানি না, গত ৮ দিনে জননেতা সালাহ উদ্দিনের ভাগ্যে কী ঘটেছে? একজন জাতীয় নেতাকে তুলে নেওয়া হলেও সরকার এ নিয়ে নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছে। সরকারের উচ্চ মহল থেকে শুরুকরে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ যে অমানবিক,নিষ্ঠুরতম পরিহাসমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন যা অত্যন্ত দু:খজনক। তা নিন্দা করার ভাষাও আমাদের নেই। নেতৃদ্বয় বলেন, সরকারকে বলব, নদাবি মেনে নিয়ে গুম-খুনের রাজনীতি ছেড়ে সংলাপের মাধ্যমে নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবিলম্বে সকলের অংশগ্রহণের নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্যথায় পৃথিবীর সকল স্বৈরশাসকের মতো বর্তমান সরকারকেও করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে।
নেতৃদ্বয় বলেন, সালাহ উদ্দিনের মতো একই কায়দায় ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকনকেও ধানমন্ডি থেকে তুলে নিয়ে গেছে আইন-শৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিন্তু তাকে আটকের কথা কেউ স্বীকার করেনি। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে তাকেও স্বাভাবিক অবস্থায় তার পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।