নিজেদের ‘সততা’ নিয়ে প্রশ্ন তোলায় ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের দায়িত্বে থাকা বিতর্কিত আম্পায়ারদ্বয় ইয়ান গোল্ড ও আলিম দার আইসিসি সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামালের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানা গেছে।
সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের খবরে বলা হয়েছে, পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠায় এই দুই আম্পায়ার প্রচণ্ড অপমানিত বোধ করছেন। তারা অপমানিত হয়েছেন আইসিসির সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামালের মন্তব্যে। এ জন্য খোদ আইসিসির সভাপতির বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। এ জন্য তারা আইসিসির গুরুত্বপূর্ণ কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গেও নাকি আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
মেলবোর্নের ম্যাচে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত ইচ্ছাকৃতভাবেই বাংলাদেশের বিপক্ষে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ এই দুই আম্পায়ারের বিরুদ্ধে। বিশেষ করে রুবেল হোসেনের করা ৪০তম ওভারে রোহিত শর্মার ক্যাচ নো বলের অভিযোগে বাতিল করাকে নিয়েই সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ। টেলিভিশন রিপ্লেতে পরিষ্কারভাবেই দেখা গেছে আম্পায়ার ইয়ান গোল্ডের সিদ্ধান্তটি ছিল ভুল।
পাশাপাশি সুরেশ রায়নার বিপক্ষে এলবি না দেয়া, শিখর ধাওয়ানের ক্যাচ্- অনেক কিছু নিয়েই ক্ষোভ বিরাজ করছে বাংলাদেশ-শিবিরে। ওই ম্যাচের আম্পায়ারিং নিয়ে সমালোচনা চলছে বিশ্বের পুরো ক্রিকেট অঙ্গনে।
আইসিসি সভাপতি ও বাংলাদেশের পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ম্যাচ শেষে সরাসরিই অভিযুক্ত করেছেন আম্পায়ারিংকে। তিনি বলেছেন, “দুই আম্পায়ারের খেলা পরিচালনা ছিল ভুলে ভরা ও অত্যন্ত নিম্নমানের। তাদের আম্পায়ারিং দেখে মনে হয়েছে কোনো নির্দিষ্ট অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য নিয়েই তারা মাঠে এসেছিলেন।”
মুস্তফা কামালের এই মন্তব্যের পিঠে অবশ্য আম্পায়ারদের পাশে দাঁড়িয়েছে খোদ আইসিসিই। শুক্রবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা তাদের সভাপতির এই মন্তব্যকে ‘দুঃখজনক’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
এদিকে সিডনি মর্নিং হেরাল্ড জানিয়েছে, আইসিসি সভাপতির বক্তব্যকে দুই আম্পায়ার ‘ব্যক্তিগত আক্রমণ’ হিসেবেই মনে করছেন। তারা মনে করেন, মুস্তফা কামালের এসব মন্তব্যে তাদের ব্যক্তিগত সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। খুব সম্ভবত আইসিসির সবুজ সংকেত পেলেই তারা দুজন মামলা-মোকদ্দমার দিকে এগোবেন।