ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আরও একটি মানহানির মামলা করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে কটূক্তিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে সোমবার (২৩ মার্চ) দুপুরে ঢাকার সিএমএম আদালতে মানহানির মামলাটি দায়ের করেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফজলুল করিম আরিফ পাটোয়ারী।
মামলায় তারেক রহমান ছাড়াও বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাবেক বিশেষ উপদেষ্টা ও বিএনপির বৈদেশিক দূত জাহিদ এফ সরদার সাদীসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে মামলাটির ঘটনার তদন্ত করে আগামী ২৭ এপ্রিল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউনূস খানের আদালত।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে লন্ডনে ও সাদীর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে দেওয়া বিভিন্ন বক্তৃতা-বিবৃতিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে কটূক্তিপূর্ণ বক্তব্যের অভিযোগ করা হয়েছে। মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর তারেক রহমান ইস্ট লন্ডনের দ্য আট্টিয়াম অডিটরিয়ামে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধু ‘রাজাকার’, ‘খুনি’ ও ‘পাকবন্ধু’ ছিলেন। তিনি ‘শখের বন্দি’ ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের কোনো ভূমিকা নেই।
অন্যদিকে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আসামি সাদী এক লিখিত বিবৃতিতে বিদেশি সাংবাদিকদের কাছে শেখ মুজিবুর রহমানের মরণোত্তর বিচার, শাস্তি ও মরণোত্তর ফাঁসি দাবি করেন। এসব বক্তব্য বাংলাদেশের সমস্ত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়, যা মানহানিকর এবং এতে বাদীরও মানহানি হয়েছে।
মামলাটিতে বাদী ৯টি পত্রিকার সম্পাদককেও সাক্ষী করেছেন। একই অভিযোগে এর আগেও দেশের বিভিন্ন জেলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আরও বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাগুলোর মধ্যে কয়েকটিতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি'১৫ এ শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘রাজাকার’ বলে আখ্যা দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং ৪ঠা ফেব্রুয়ারী'২০১৪ জনাব জাহিদ এফ সরদার সাদী, শেখ মুজিবুর রহমানের মরণোত্তর বিচার, শাস্তি ও ফাঁসির দাবি করলে, এ নিয়ে দেশে-বিদেশে শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।তারই ফলশ্রতিতে এই দুজনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ মামলা টি দায়ের করা হলো।
তারেক রহমান এবং জাহিদ এফ সরদার সাদীর বক্তব্যে আওয়ামী লীগের ১০০ কোটি টাকার সম্মানহানি হয়েছে দাবি করে দণ্ডবিধি ৪৯৯/৫০০ ধারায় তারেকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।