ভারতের মাটি ব্যবহার করে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)। বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের এ দাবি মানতে নারাজ ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)।
এমনকি বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনে এমন কোনও বিষয় উল্লেখ করা হয়নি। ভারতের জিনিউজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।
আগামী ৩১ মার্চ খাগড়াগড়কাণ্ডে প্রথম অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দিচ্ছে এনআইএ। চার্জশিটে খাগড়াগড়কাণ্ডে সারদা টাকা ব্যবহারের অভিযোগ নিয়েও কোনও তথ্য থাকছে না।
গত বছর ২ অক্টোবর বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বর্ধমানের খাগড়াগড়। প্রকাশ্যে আসে জঙ্গি নেটওয়ার্কের জাল। জেলা পুলিশ সিআইডি হয়ে তদন্তভার হাতে যায় এনআইএ-এর হাতে।
চার্জিশিটে মূল অভিযুক্ত হিসেবে ২৮ জনের নাম থাকছে। এর মধ্যে ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। এখনও ফেরার ১০ জন, যার মধ্যে ৩ জন জেএমবির প্রথম সারির নেতা। বিস্ফোরণের ৫ মাস পর চার্জশিট দিলেও জেএমবির প্রধান সাজিদ ছাড়া মূল ষড়যন্ত্রকারীদের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি এনআইএ। ধরা পড়েনি বোমা মিজান, তারিকুল ইসলাম, বোরহান, ইউসুফ শেখসহ একাধিক নেতারা। তবে, চার্জশিটে রয়েছে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের দাবি ছিল, খাগড়াগড়ের মাটি ব্যবহার করে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল জেএমবি। কিন্তু চার্জশিটে তেমন কোনও তথ্য থাকছে না। খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণে ঘুরপথে সারদার টাকা ব্যবহার হয়েছিল বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠছিল। চার্জশিটে এই সম্পর্কেও কোনও তথ্য নেই। খাগড়াকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত মুফাজ্জল শেখ ওরফে লাদেন এই মামলা সরকার পক্ষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হতে পারে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা, বিস্ফোরক আইনসহ একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।