ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি,বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, একুশে পদক প্রাপ্ত অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করায় স্তম্ভিত, বিস্মিত এবং আতঙ্কিত ‘শত নাগরিক’ সহ সমগ্র দেশবাসী।
এক বিবৃতিতে কমিটির বিশিষ্টজনেরা বলেছেন, দেশের এই চরম সংকটকালে তার মত ব্যক্তিত্ব যখন জাতীয় ঐকমত্যের সরকার প্রতিষ্ঠায় সকলের অংশগ্রহণমুলক নির্বাচনের পক্ষে প্রস্তাবনা উপস্থাপন করে সমাধানের পথ বের করার নিরন্তর চেষ্টা করছেন। রক্তপাত এবং হানাহানির বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট নিয়েছেন সেই সময়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সরকার বর্তমান সংকট সমাধানের পথগুলো বন্ধ করে দিয়ে দেশের গণতন্ত্র, আইনের শাসনকে নির্মূল করতে চাচ্ছে।
ডঃ এমাজউদ্দিন সুশীল সমাজের ওই সংগঠন ‘শত নাগরিক’ এর জাতীয় কমিটির আহবায়ক। সংগঠনের সদস্য সচিব কবি আব্দুল হাই শিকদার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের বিবেক এবং জাতির অভিভাবক হিসেবে পরিচিত সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. এমাজউদ্দিন আহমদ তার পুরো জীবন ব্যয় করেছেন জ্ঞানচর্চা, জ্ঞানদান এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে। গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পতাকাকে সমুন্নত রাখাই জীবনের ব্রত হিসেবে নিয়েছেন তিনি। এমন ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে মানুষ হত্যা, রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং জ্বালাও-পোড়াও’র মামলা দায়েরের অর্থ হচ্ছে দেশে সুষ্ঠুতা ও স্বাভাবিকতা বলতে কিছু নেই। তারা চাই আমাদের জাতিরক্ষার শেষ প্রদীপগুলোকেও নিভিয়ে দিয়ে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করতে।
তারা বলেন, আমরা মনে করি, এই মামলা দায়ের করার অর্থ হল- এ প্রবীণ বয়োজেষ্ঠ্য ব্যক্তিত্বকে মানসিক চাপের মধ্যে নিক্ষেপ করে সমাধানের পথ থেকে তাকে সরে দাড়াতে বাধ্য করা। আমরা এই মামলা দায়েরকে অত্যন্ত গর্হিত, জঘন্য, প্রতিহিংসাপরায়ন ও বিবেকবর্জিত কাজ বলে মনে করি। আমরা প্রত্যাশা করি সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে প্রফেসর ড. এমাজউদ্দিন আহমেদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে।
বিবৃৃতিদাতারা হচ্ছেন সাবেক বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ, কবি আল মাহমুদ, প্রফেসর ড. মনিরুজ্জামান মিঞা, প্রফেসর ড. আনোয়ারউল¬াহ চৌধুরী, প্রফেসর ড. তালুকদার মনিরুজ্জামান, মোহাম্মদ আসাফউদ্দৌলাহ, এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সাদেক খান, ড. মাহবুব উল্লাহ, শফিক রেহমান, ফরহাদ মজহার, প্রফেসর আফম ইউসুফ হায়দার, রিয়াজ উদ্দিন আহমদ, শওকত মাহমুদ, রুহুল আমিন গাজী, কবি আবদুল হাই শিকদার, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডা.এজেডএম জাহিদ হোসেন, ড. ওয়াকিল আহমেদ, ড. খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান, ড. সদরুল আমিন, ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম, মাহফুজ উল্লাহ, ড. মোসলেহ উদ্দীন তারেক, গাজী মাযহারুল আনোয়ার, আলমগীর মহিউদ্দিন, এম এ আজিজ, কামাল উদ্দিন সবুজ, সৈয়দ আবদাল আহমদ, এম আব্দুল¬াহ, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, কাদের গণি চৌধুরী, ইলিয়াস খান, ড. রাশিদুল হাসান, ইঞ্জিনিয়ার আনহ আখতার হোসেন, এডভোকেট জয়নাল আবেদীন, ড. আব্দুর রহমান সিদ্দিকী, ড. আমিনুর রহমান মজুমদার, ড. জেড এম তাহমিদা বেগম, প্রফেসর আকা ফিরোজ আহমদ, ড. আখতার হোসেন খান, ড. মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন (মালয়েশিয়া), প্রফেসর ইশাররফ হোসেন (মালয়েশিয়া), ড. কেএমএ মালিক (যুক্তরাজ্য), শেখ মহিউদ্দিন আহমেদ (আয়ারল্যান্ড), আতিকুর রহমান সালু (যুক্তরাষ্ট্র), জয়নাল আবেদিন (যুক্তরাষ্ট্র), মঞ্জুর আহমেদ (যুক্তরাষ্ট্র), আব্দুল¬াহিল বাকী (ফ্রান্স), তমিজ উদ্দিন (ইতালি), ড. মোবাশে¡র মোনেম, ড. আবুল হাসনাত, ড. এবি এম সিদ্দিকুর রহমান নিজামী, প্রফেসর ড. আজহার আলী, মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান খান, ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান, ড. খলিলুর রহমান, ড. সাহিদা রফিক, ড. মো: হায়দার আলী, প্রফেসর একেএম আজহারুল ইসলাম, প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম, প্রফেসর কেএএম শাহাদাত হোসেন মন্ডল, প্রফেসর ড. হাসান মোহাম্মদ, প্রকৌশলী কাজী এম. সুফিয়ান, ড. ইফতিখারুল আলম মাসুদ, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী, প্রফেসর ড. মোশাররফ হোসেন মিঞা, প্রফেসর ড. মোখলেছুর রহমান, প্রফেসর ড. সুকোমল বডুয়া, ড. বোরহান উদ্দিন খান, ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, ড. লায়লা নুর ইসলাম, ড. ইয়ারুল কবির, ড. মামুন আহমেদ, ড. আবদুল লতিফ মাসুম, ড. সামসুল আলম, ড. সৈয়দ মোহাম্মদ কামরুল আহসান, ড. জাহিদুল ইসলাম, ড. কামাল আহমদ চৌধুরী, কবি আল মুজাহিদী, কবি হাসান হাফিজ, কবি আবু সালেহ, বাছির জামাল, একেএম মহসিন, মির আহমেদ মিরু, ড. লুতফর হমান, ড. তাসলিমা মানসুর, ড. মোরশেদ হাসান খান, ড. মো: মোজাম্মেল হক, ড. মাহফুজুল হক, ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন, প্রফেসর শাহ হাবিবুর রহমান, প্রফেসর এম নজরুল ইসলাম, প্রফেসর আসমা সিদ্দিকা, ড. সৈয়দা আফরোজা মামুন, প্রফেসর মো: শহিদুর রহমান, প্রফেসর এনামুল হক, প্রকৌশলী কাজী মো: সুফিয়ান, ড. মোহসিন জিল্লুল করিম, মোহাম্মদ মাফরুহি সাত্তার, প্রফেসর সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী, প্রফেসর আতিকুর রহমান, প্রফেসর কে এম গোলাম মহিউদ্দিন, প্রফেসর আ ক ম আবদুল কাদের, প্রকৌশলী মো: মাহফুজ, প্রকৌশলী মো: মালেক, প্রকৌশলী কাজী মেজবাহ, প্রকৌশলী মোসলেহউদ্দিন, প্রকৌশলী আল আমিন, ডা. ইফতেখার লিটন, ডা. বেলায়েত হোসেন,ডা. আবদুল মোতালেব, ডা. জসিম উদ্দিন, ডা. বদিউল আলম, ডা. গোলাম মর্তুজা, ডা. আবুল কাশেম, এডভোকেট জহুরুল আলম, প্রকৌশলী মাসুদুল হক খান, প্রকৌশলী হাসান পারভেজ, প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম, প্রকৌশলী মাসুম আহমেদ, ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, ড. মো. গোলাম আরিফ কেনেডি, অধ্যাপক কামাল উদ্দিন আহমেদ চৌধূরী, অধ্যাপক ডা. সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আনম মুনীর আহমেদ চৌধুরী, সামশুল হক হায়দরি, জাহিদুল করিম কচি, ইসকান্দার আলী চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, ডা. মোহাম্মদ ঈসা, প্রকৌশলী সেলিম মোহাম্মদ জানে আলম, প্রফেসর নসরুল কবির, প্রফেসর মাহফুজ পারভেজ, শামসুদ্দিন হারুন, অধ্যাপক ড. এমএ বারী মিয়া, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. কামরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. শহিদুল হক, বেলাল হোসেন, ড. মো. মিজান, প্রকৌশলী সাব্বির মোস্তফা খান, ডা. এ এ গোলাম মুর্তজা হারুন, ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, ডা. আশরাফুল কবীর ভূঁইয়া, ডা. শাহাদাত হোসেন, ডা. মো. জসিম উদ্দিন, ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ, কৃষিবিদ আনোয়ারুন্নবী বাবলা, ইঞ্জিনিয়ার আবু সুফিয়ান, মনির খান, জাকির হোসেন ও ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম প্রমূখ।