দৈনিক প্রথ বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ ভিন্নমতাবলম্বি ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পেয়েছে। অবশ্য বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশ জঙ্গীবাদে ছেয়ে গেছে বলে আসছিলো বিধায় আন্তর্জাতিক গনমাধ্যম গুলো বেশ গুরুত্বের সাথে এধরনের সংবাদ প্রচার করে থাকে।
এএফপি, এপির মতো গুরুত্বপূর্ণ বার্তা সংস্থা ছাড়াও গার্ডিয়ান, বিবিসি, আল জাজিরাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম হত্যাকাণ্ড নিয়ে সংবাদ প্রচার করেছে।এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার প্রধান প্রধান গনমাধ্যম গুলোতে ব্যাপক প্রচারনা পায় এই হত্যাকান্ডের সংবাদটি।
ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, বাংলাদেশে স্বাধীনচেতা লেখকদের উপর আক্রমনের ধারাবাহিকতায় ব্লগার ওয়াশিকুর রহমানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে একইভাবে ঢাকায় অপর এক ব্লগারকে হত্যা করা হয়। কয়েক সপ্তাহ ব্যবধানে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, মুক্তচিন্তাশীল ব্লগার ওয়াশিকুর রহমানকে ঢাকার ব্যস্ত রাস্তায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। ইসলাম ও মহানবী(সঃ) বিরোধী লেখালেখির কারনেই তাকে হত্যা করা হয় বলে আটক ব্যক্তিরা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, এক বাংলাদেশি ব্লগারকে দেশটির রাজধানী ঢাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।প্রখরভাবে ধর্মীয় সমালোচনা করে লেখার দায়ে হত্যার শিকার হলেন ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু। বাংলাদেশি–আমেরিকান নাস্তিক ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের মাত্র এক মাস পর এ ঘটনা ঘটলো।
ডয়েচে ভেলের খবরের শিরোনামে বলা হয়, আরও এক বাংলাদেশি ব্লগারকে রাজধানী ঢাকায় হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সন্দেহভাজন দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। এটি মুসলিম প্রধান দেশটিতে নাস্তিক লেখকদের লক্ষ্য করে চালানো সর্বশেষ আক্রমণ।
সংবাদসংস্থা রয়টার্সের খবরের বলা হয়, বাংলাদেশে কুপিয়ে হত্যার শিকার ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান। সোমবার তাকে রাজধানী ঢাকায় রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে ধর্মীয় চরমপন্থার সমালোচকের উপর পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে এটি দ্বিতীয় আক্রমণ।
নিউইয়র্ক টাইমসে বলা হয়, বাংলাদেশে ইসলাম সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করায় চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের দ্বিতীয় ঘটনা এটি। দুই সন্দেহভাজন মাদরাসা ছাত্রকে আটক করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি চাপাতি উদ্ধার করলেও তৃতীয় সন্দেহভাজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।