ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ শিঘ্রই কমরেড সিরাজ শিকদারসহ ৩০ হাজার বিরোধী রাজনৈতিক কর্মী হত্যার দায়ে শেখ মুজিবুর রহমানসহ এই গনহত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল, হেগ, সুইজারল্যান্ডে মামলা করার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক বিশেষ উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বৈদেশিক দূত জাহিদ এফ সরদার সাদী।
সম্প্রতি এক লিখিত বিবৃতিতে সাদী (কমরেড সিরাজ সিকদারের নিকটতম আত্মীয়) শেখ মুজিবর রহমানের মরণোত্তর বিচার, শাস্তি ও মরণোত্তর ফাঁসি দাবি করে তাঁর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে মামলার ঘোষণা দেন।
বিএনপির বৈদেশিক দূত জাহিদ লিখিত বিবৃতিতে তিনি বেশকিছু অভিযোগ করেন। ক্ষমা না চাইতেই স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার, আল বদরদের ঢালাও ভাবে ক্ষমা ঘোষণা, মহান বিপ্লবী নেতা কমরেড সিরাজ সিকদারকে বন্দী অবস্থায় বিনা বিচারে গুলি করে হত্যা করার অপরাধে শেখ মুজিবর রহমানের মরণোত্তর ফাঁসি চাই।
তিনি লিখিত বিবৃতিতে আরও বলেন, বিশ্লেষণ এবং সামরিক পরিসংখ্যানে জানা যায়, ৭ মার্চ শেখ মুজিবর রহমান যদি পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে বাংলাদেশকে স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে ঘোষণা করতেন এবং সুদূর ১২ শ মাইল দূর থেকে আসা পাকিস্তানি সৈন্যদের বন্দী করতে বলতেন, তাহলে পাকিস্তানি সৈন্যদের সাথে বাঙালি সৈন্য, ইপিআর, পুলিশ ও জনতার যে লড়াই বা যুদ্ধ হতো, সেই যুদ্ধে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই সামান্য রক্তপাতের বিনিময়েই আমাদের দেশ মুক্ত বা স্বাধীন হতো।
তিনি লিখিত বিবৃতিতে আরও বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রথম বিপ্লব হয়েছিল ইংল্যান্ডে তার পর একে একে ছড়িয়ে পরে গোটা পৃথিবীতে সূচনাটা ভালোই ছিল কিন্তু রাজতন্ত্রের ক্ষমতা লোপ করে নিজেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে একজন স্বৈরাচারী হয়েছিলেন। কিন্তু ইংল্যান্ডের গণতান্ত্রিক জনতা তাকে ক্ষমা করেনি। দেশের প্রচলিত আইনে তার বিচার হয়েছিল তার মৃত্যুর পর। এই বিচার প্রিভি কাউন্সিল পর্যন্ত গড়িয়েছিল এবং তার ফাঁসি হয়েছিল। কবর হতে তার হাড়গোড় তুলে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানো হয়েছিল। ঠিক আমাদের দেশেও তাই ঘটেছিলো এবং এখনও তাই ঘটে যাচ্ছে, তবে ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবেনা। আইনের শাসন একদিন প্রতিষ্ঠা হবেই হবে।
লিখিত বিবৃতিতে সাদী বলেন "আমি 'জাহিদ এফ সরদার সাদী' বাংলাদেশ সত্যের শক্তির পক্ষ থেকে , বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের ও বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের তথা সর্ব জনসাধারণের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা বিরোধী ,খুনি, একদলীয় ( বাকশাল ) শাসক, শেখ মুজিবর রহমানের মরণোত্তর বিচার চাই, শাস্তি চাই,মরণোত্তর ফাঁসি চাই"। উল্লেখ্য গেল সপ্তাহে ঢাকা সিএমএম আদালতে জনাব সাদীর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী এবং ১০০ কোটি টাকার মানহানী মামলা করেছে সরকার।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান এই মামলার ১নং অভিযুক্ত আসামী। এধরনের ঐতিহাসিক এবং প্রতিষ্ঠিত সত্যের উপর ভিত্তি করে দেয়া তথ্যাদির বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রনোদিত এবং হয়রানী মূলক মামলা করায় জনাব সাদী অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, 'জেল ফাসীর ভয় দেখিয়ে তার কন্ঠস্বর স্তব্ধ করা যাবেনা, অবিলম্বে দেশনায়ক সহ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মামলার শিকার বিএনপির সকল নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা সমূহ প্রত্যাহারের দাবী জানাই। অন্যথায় ইতিহাস সাক্ষী এই কৃতকর্মের শাস্তি বর্তমান সরকারকে একদিন পেতেই হবে। এজন্যই তাঁর বিরুদ্ধে হেগ ,সুইজারল্যান্ডে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে মামলা করা হচ্ছে।