সবাই যখন সামনে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন উল্টো পথে আইসিসি। ১৪ দলের বিশ্বকাপ থেকে ৪ দল কমিয়ে আনা হবে। আয়োজন করা হবে ১০ দলের বিশ্বকাপ। এর পেছনে তাদের অদ্ভূত যুক্তি, ক্রিকেটকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতেই না কি এ সিদ্ধান্ত! ২০১৯ বিশ্বকাপ যে ১০ দলের হচ্ছে, এটা এখন মোটামুটি নিশ্চিত।
আইসিসি যে পথে হাঁটছে, তাতে টেস্ট খেলুড়ে দেশ হয়েও আগামী বিশ্বকাপে খেলতে হলে বাংলাদেশকে উৎরাতে হবে বাছাই পর্বের গণ্ডি। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের জন্য যে ফরম্যাট তৈরী করা হচ্ছে, তাতে দেখা যাচ্ছে স্বাগতিক ইংল্যান্ডছাড়া র্যাংকিংয়ে শীর্ষ ৭টি দলই সরাসরি খেলবে বিশ্বকাপে। বাকি দুটি দল নির্ধারণ করা হবে বাছাই পর্ব থেকে।
সে হিসেবে বাছাই পর্ব খেলতে হবে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়েকেও। কারণ, র্যাংকিংয়ে এই দুটি দলই রয়েছে ৯ এবং ১০ নম্বরে। তবে, এই হিসাব প্রযোজ্য হবে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এর মধ্যে যদি বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ে শীর্ষ আট নম্বরে চলে আসতে পারে, তাহলে হয়তো বাছাই পর্ব খেলতে হবে না।
শীর্ষ আটে আসলেও কিন্তু সম্ভাবনা থাকে না। কারণ, র্যাংকিংয়ে ইংল্যান্ড যদি পেছনে চলে যায় তবুও তারা সরাসরি বিশ্বকাপ খেলবে। সে ক্ষেত্রে শীর্ষ আটে তো আসতেই হবে, সঙ্গে শীর্ষ ‘সাত’ নিশ্চিত করতে হবে বাংলাদেশকে।
২০১৮ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব। এই পর্বেই বাংলাদেশকে (শীর্ষ আট-এ না থাকতে পারলে) খেলতে হবে আইসিসির সহযোগি দেশগুলোর সঙ্গে। সে ক্ষেত্রে কোনভাবে হোঁচট খেলেই কেল্লাফতে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ খেলাই পড়ে যাবে হুমকির মুখে।
টেস্ট খেলুড়ে দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ে হয়তো সহযোগি দেশগুলোর চেয়ে শক্তিশালি। প্রতিযোগিতা উৎরে তারা হয়তো বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে। কিন্তু আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তানের মতো উদীয়মান ক্রিকেটশক্তিগুলো যদি বিশ্বকাপ খেলতে না পারে, তবে সে সব দেশে যে ক্রিকেট ক্রমেই পিছিয়ে যাবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।