ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী বিএনপির ঢাকা মহানগর কমিটির আহবায়ক মির্জা আব্বাসহ ১২ মেয়র এবং ৬৫ কাউন্সিলর প্রার্থীকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ গতরাত থেকে অভিযান শুরু করেছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয় থেকে নির্বাচন কমিশনে পাঠানো এই ৮১ জন প্রার্থীর নামে খুন,সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশের কাজে বাধা, পেট্রোলবোমায় মানুষ পুড়িয়ে হত্যা এবং নাশকতা করার অভিযোগে মামলা রয়েছে।
এসব আসামীর নামের তালিকা নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়ার পাশাপাশি গ্রেফতারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ডিবি পুলিশ। গতকাল বুধবার বিকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ডিসিসি নির্বাচনে ৮১ জনের মধ্যে ১২ জন মেয়র প্রার্থী। এছাড়া ২০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ৬৫ জন এবং সংরক্ষিত নারী আসনের চারজন সদস্য। তারা সবাই এজাহারভুক্ত আসামী।
মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রথম ধাপে নির্বাচন কমিশনে এ তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আমাদের বাছাই চলছে। দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৭০ থেকে ৭৫টি মামলা রয়েছে এমন ব্যক্তিও মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি আছে এবং জামিন নেওয়া নেই এমন প্রার্থী প্রকাশ্যে এলে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
ডিবি’র তালিকাভুক্ত আসামী এবং ২০ দলীয় জোটের কাউন্সিলর প্রার্থী তাদের কেউ বাসায় থাকছেন না। অজ্ঞাত স্থান থেকে প্রার্থী হলেও মূলতঃ তারা এখন পলাতক। পুলিশ জানায়, মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে। ফৌজদারী দ-বিধি ধারায় ৩৭টি মামলা রয়েছে। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলার আসামীকে গ্রেফতার করতে কোন বাধা নেই।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করে অভিযান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা পেট্রোলবোমায় নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মারছে, ঢাকা মহানগরীতে নাশকতার পাঁয়তারা করছে এবং বিভিন্ন অপরাধে মামলা রয়েছে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে যুগ্ম কমিশনার বলেন, মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ৭০ থেকে ৭৫ টি মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ধরনের ক্রিমিনালের সাথে পুলিশের কোন আঁতাত হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমরা আশা করছি খুব শীঘ্রই তাকে গ্রেফতার করতে পারব। সম্ভাব্য সকল স্থানে আমাদের অভিযান চলছে। তিনি ইনকিলাবকে বলেন,“খুন চাঁদাবাজি গাড়ি ভাংচুরসহ নাশকতায় জড়িত থাকার অভিযোগে মামলার আসামীদের কোন ধরনের ছাড় দেয়া হবে না ।