এবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারে গণপদযাত্রার কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। আগামী ৫ এপ্রিল রবিবার এই কর্মসূচি পালন করবে শ্রমিক, কর্মচারী, পেশাজীবী, মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ, যেটির আহ্বায়ক শাজাহান খান।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে শুরু হবে এ কর্মসূচী বলে শাজাহান খান জানান।
ওইদিন বিকেল তিনটায় গণপদযাত্রা কর্মসূচি সংসদ ভবন থেকে শুরু হবে। শেষ হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনে গিয়ে। পরে সেখানে পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের শপথ পড়ানো হবে।
খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘দেশের সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমার মনে হচ্ছে, সরকার তাকে আরো পচার সুযোগ করে দিচ্ছে। এতে করে খালেদা জিয়ার আসল চেহারা দেশের মানুষের কাছে উন্মোচিত হবে।’ শাজাহান খান বলেন, ‘কিন্তু আমরা খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তার এবং বিচার চাই। এজন্য নানা কর্মসূচি পালন করে আসছি। এবার তাকে গ্রেপ্তারে গণপদযাত্রা কর্মসূচি দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া এখন বঙ্গবন্ধুর মত প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। জনসম্পৃক্ততা হারিয়ে সন্ত্রাসীদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন তিনি।’ মন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া হরতাল-অবরোধের নামে মানুষ হত্যা করছেন। শিক্ষার্থীদের জীবন ধ্বংসে মেতে উঠেছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি ১২ দফা দাবিও তুলে ধরেন। তাদের এ আন্দোলনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হিসেবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা, বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করার ষড়যন্ত্র প্রতিহত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জনগণকে উজ্জীবিত ও রাষ্ট্রপরিচালনা সুনিশ্চিত, ধর্মীয় অনুভূতিতে ঠেকানো।’
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের যুগ্ম-আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হেলাল মোর্শেদ খান, নারীনেত্রী শিরীন আক্তার, আব্দুল মালেক, আলাউদ্দিন মিয়া, বদরুদ্দোজা মিজান প্রমুখ।