ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আজ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পূ্ত্র সজিব ওয়াজেদ জয় এর যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের গোপন তথ্যাদি উৎঘাটনকারী রিজভী আহমেদ এবং তার আইনজীবি মার্শাল আইজ্যাকল ফার্মের মিঃ রস এল শিলার এক সংবাদ সম্বেলনে উপস্থিত হন।
উক্ত সংবাদ সম্বেলনে জনাব রিজভী তার অবস্থান সম্পর্কে মিডিয়াকে সম্যক অবহিত করেন।তার সম্পর্কে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনেকাংশেই ভূল,মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে তার এবং তার পরিবারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার প্রচেষ্টার অংশ বই আর কিছুই নয়।
ইতিপূর্বে অনিবার্য কারন বশতঃ এই সংবাদ সম্বেলনটি অনুষ্ঠিত হতে না পারায় বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক বৈদেশিক উপদেষ্টা ও বিশেষ দূত জাহিদ এফ সরদার সাদীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং তত্বাবধানে আবার এই সংবাদ সম্বেলনের আয়োজন করেন।যুক্তরাস্ট্রের আইন অনুসারে যে কোন নাগরিকের মত প্রকাশের অধিকার রয়েছ বলেই সংবাদ সম্বেলন অনুষ্ঠিত হলো।
শুরুতেই জনাব রিজভীর আইনজীবি, যুক্তরাষ্ট্রের স্বনামধন্য ল ফার্ম মার্শাল আইসাক এর মিঃ রস এল শিলার, জনাব রিজভী আহমেদের সাথে বিএনপি কিংবা অন্য কোন দলের কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে ঘোষনা করেন।
আইনজীবি বলেন রিজভীর পিতা বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত থাকলেও ব্যক্তিগত ভাবে রিজভী বাংলাদেশের কোন দলের সাথে জড়িত নন।
বাংলাদেশের গরীব জনগনের টাকা এভাবে লুটতরাজ কারীদের চিন্হিত করার লক্ষ্যেই রিজভী এ উদ্যোগ গ্রহন করেন।
দেশের মানুষের পক্ষে একজন সাধারন নাগরিক হিসাবে স্বপ্রনোদিত হয়েই তিনি এই ভিন্ন উপায়ে দূর্নীতিবাজ জয়ের একাউন্টের ফিরিস্তি উৎঘাটনে সচেষ্ট হন এবং তা করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা আইনের আওতায় রিজভী বিচারের সম্মূখীন হন।
বিচারে তার ৪২মাসের সাজা হলেও ,তিনি বিষয়টি নিয়ে মোটেও লজ্জিত নন।বরং দেশের সম্পদ রক্ষায় অবদান রাখতে পেরে তিনি গর্বিত বলে জানান।
জনাব রিজভী আরও বলেন,এই অতি গোপনীয় এসব তথ্য উৎঘাটনে তিনি সঠিক পন্থা অবলম্বন না করলেও,তার উৎঘাটিত তথ্যাবলী শতকরা ১০০ভাগ সঠিক এবং প্রমানিত সত্য।
তার কাছে জয় ছাড়াও শেখ হাসিনা সহ আওয়ামী লীগের রাঘব বোয়ালদের অনেকের অতি গোপনীয় তথ্যাদি রয়েছে , ল ফার্ম এসব তথ্য খতিয়ে দেখছে এবং ২য় দফায় এসব গনমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করা হবে।এছাড়াও আইনজীবি বলেন,রিজভী আহমেদের জড়িয়ে জয় অপহরনের মতো মিথ্যা সংবাদ প্রচার কারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।