বিএনপির অবরোধ-হরতাল চলাকালে গত জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোলবোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার চার্জশিট চূড়ান্ত করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ।
এই ঘটনায় তখন দু’টি মামলা হয়। একটি নাশকতার এবং অন্যটি হত্যা মামলা। গত ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ী এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের একটি বাসে ওই পেট্রোলবোমা হামলায় নারী ও শিশুসহ ৩৪ জন যাত্রী ঝলসে যান। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত বাসযাত্রী নূর আলম পরে ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে মারা যান।
যাত্রাবাড়ীতে বাসে এই পেট্রোলবোমা হামলার ব্যাপারে চারজনকে তখন আটক করা হয়েছে। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তারা জবানবন্দিতে জানিয়েছে, শিবির নেতারা পেট্রোলবোমা হামলা বাস্তববায়নের দায়িত্ব পালন করেছে। আর বিএনপি নেতা নবীউল্লাহ নবী, ফজলুল হক মিলন ও হাবিব উন নবী খান সোহেল পেট্রোলবোমা হামলার পরিকল্পণা করে বিএনপির সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে।
গোয়েন্দা বিভাগের তদন্তে উঠে এসেছে যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেই এই পেট্রোলবোমা হামলা চালান হয়। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, ‘এই ঘটনায় দায়ের করা হত্যা-নাশকতার দু’টি মামলায়ই খালেদা জিয়া এবং বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের শীর্ষ নেতাসহ মোট ৪০ জনকে চার্জশিটে আসামি করা হয়েছে।
এরইমধ্যে চাজশিট অনুমোদনও হয়েছে। যেকোন দিন আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করা হবে।’ জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে আসামি করে এই মামলা দু’টির চার্জশিট আগেই চূড়ান্ত হয়। দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়া আদালতে আত্মসমর্পন করার কারণে আগে চার্জশিট আদালতে দেয়া হয়নি।
আগে যদি চার্জশিট দেয়া হয় তাহলে তিনি আদালতে নাও যেতে পারেন এই আশঙ্কায়। তবে এখন আর কোন বাধা নেই বলে জানান গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।