ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের খবরাখবর পত্রিকা গুলোর পাতায় যেভাবে আসছে তাতে মনে হচ্ছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ ক্যাডার আ.জ.ম নাসির ইতিমধ্যেই বিজয়ী হয়ে গেছেন এবং নির্বাচন টি এখন আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।
আসলেই কি তাই???অত্যন্ত সৎ এবং প্রচার বিমূখ সদ্য সাবেক মেয়র মন্জুর আলমের মতো দুর্নীতি, সন্ত্রাসীকর্মকান্ড ও ক্যাডার বিবর্জিত মেয়র চট্টগ্রাম বহুদিন পায়নি।তার সততার ব্যাপারে সকলের এমনকি তার বিরোধীদের কোন সন্দেহ নেই।
ব্যক্তিগত ও পরিবারিক ভাবে ধনবান মন্জুর একজন বিশাল হৃদয় দানবীর হিসাবে সকলের কাছে পরিচিত।তার সময়কালের যে প্রধান ব্যর্থতার বিষয়টি বারংবার বিরোধী নাসির শিবির থেকে উত্ত্বাপিত হচ্ছে ,তা হলো চট্টগ্রাম মহানগরীর বর্ষাকালের ভয়াবহ জলাব্ধতা নিরসনে ব্যর্থতা।
আমাদের জানতে হবে এই জলাবদ্ধতার আসল কারন কি?জনাব নাসিরের পূর্বসূরী সাবেক মেয়র মহিউদ্দীন চৌধুরীর দীর্ঘ মেয়রামলে সীমাহীন স্বেচ্ছাচরিতা এবং দূর্নীতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম শহরের অধিকাংশ পাহাড় নির্বিচারে কেটে ফেলা হয় ,হাউজিং ও বিভিন্ন বানিজ্যিক নির্মানের লক্ষ্যে।ফলে শহরের পানি নিষ্কাষন নেটওয়ার্ক ক্রমশঃ সংকুচিত হয়ে যায়।
জনগন জানতে চায় মহিউদ্দিন চৌধুরী কোন পৈত্রিক ব্যবসায় থেকে শত শত কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন এবং বিশাল ক্যাডার বাহিনী পোষার রসদ তিনি কোথা থেকে পান???এই একই প্রশ্ন সাবেক ছাত্রলীগনেতা এবং আওয়ামী মেয়র পদপ্রার্থী আ.জ.ম নাসিরের জন্যও প্রযোজ্য।
অত্যন্ত যোগ্য এবং সৎ মেয়র মন্জুর আলম গত ৫ বছরে বহু চেষ্টা করেও চট্টগ্রামে অসহনীয় জলাবদ্ধতা দূর করার নিমিত্তে গ্রহনকরা প্রকল্পের জন্য আওয়ামী সরকারের কোন সহযোগিতা এবং প্রয়োজনীয় অর্থায়ন পাননি।
কেনা জানে সরকারের অর্থায়ন ছাড়া এধরনের গভীর সমস্যা সমাধান করা তার পক্ষে কিছুতেই সম্ভব ছিলো না। এপ্রসঙ্গে যে বিষয়টি উল্লেখ না করলেই নয়,আওয়ামী সরকার মনোনিত এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত আস্থাভাজন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃপক্ষ(সিডিএ)চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামকে দিয়ে চট্টগ্রামে উন্নয়নের কর্মকান্ড বৃদ্ধি করানো হয়েছে তা প্রাকান্তরে বিরোধী দলীয় সিটি মেয়র মন্জুকে কোনটাসা ও হেয় করা ছাড়া আর কিছুই নয়।
এখন আওয়ামী লীগ সমর্থীত প্রার্থী আ.জ.ম. নাসির প্রচার করে বেড়াচ্ছেন তিনি মেয়র হলে অচিরেই এই জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান করবেন(অবশ্যই সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় )।
এক্ষেত্রে জোড় দিয়েই বলা যায় জলাবদ্ধতা সহ চট্টগ্রাম মহানগরীর অনেক সমস্যাকে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন না করে জিইয়ে রেখে দুভাবে ফায়দা লুটতে চেয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার।
প্রথমতঃ বিএনপি সমর্থিত মেয়র মন্জুর আলমের শাসনামলকে ব্যর্থতায় পর্যবসিত করা
এবং দ্বিতীয়তঃ প্রকৃত পক্ষে তাদের অসহযোগিতার দায়ভার সাবেক মেয়র মন্জুরের উপর চাপিয়ে দিয়ে আলাদ্দীনের আশ্চর্য প্রদিপ হাতে পাওয়া আ.জ.ম.নাসিরকে নির্বাচিত করিয়ে আনা।
চট্টগ্রামের আপামর জনসাধারন সব দিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবে বলে আমরা আশা করছি। এক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার জনগন কখনই ভূল করেনা।