রাকেশ রহমানঃ মীর্জা আব্বাস জাতীয়তাবাদী দলের ঢাকার সাবেক মেয়র , জাতীয়তাবাদী দলের ঢাকার প্রথম আহবায়ক, সাবেক মন্ত্রী, প্রথম থেকেই জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরে যার রাজনৈতিক যাত্রা শুরু, তিনি বাম দল থেকে আসা কোন ব্যক্তি নন।
মীর্জা আব্বাস যার জাতীয়তাবাদী দলের প্রতি রয়েছে আগাত সম্মান তার প্রমাণ তিনি দলের দূর দিনেও দিয়েছেন, যান নি কোন সংস্কার পন্থীতে বরং সুবিধাবাদী নেতাদের চাপে কিছুটা অভিমান করে দূরে দূরেই ছিলেন দীর্ঘ দিন।
ব্যর্থ ও জাতীয়তাবাদী দলের বিলুপ্ত প্রায় ঢাকা মহানগরের দায়িত্বে ফের আবার নিয়ে আসেন মীর্জা আব্বাসকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
ঢাকা মহানগরে মীর্জা আব্বাসের বিকল্প কেউ ছিল না হতেও পারে না। শুধু শুধু দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সুবিধাবাদীরা ঢাকা মহানগর জাতীয়তাবাদী দলের দায়িত্ব পালনের নামে নিজ নিজ সুবিধা তথা বাণিজ্য করে ধ্বংসের পথে রেখে গিয়েছে জাতীয়তাবাদী দলকে।
মীর্জা আব্বাস জাতীয়তাবাদী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য। যার পদ ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও সম্মানিত। তবুও মীর্জা আব্বাস দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ডাকে সারা দিয়ে ৯০' এর মত করে দেশে থেকেই কাজ করে যাচ্ছেন।
তবে কথা হচ্ছে ৯০' দশক আর এখনকার পরিবেশ পেক্ষাপট ভিন্ন। ৯০' দশকে স্বৈরাচার সরকার ছিল একটি দল আর এখন স্বৈরাচারী সরকারের সাথে সাবেক স্বৈরাচার ও আরো অনেক মুক্তিযোদ্ধার চেতনা বিক্রয় করা ব্যক্তিবর্গ দ্বয়ের সমন্বয় রয়েছে।
বর্তমান সরকারের মিশন ও ভিশন ৯০' দশকের তুলনায় অধিক থেকে অধিকতর বেশি। বর্তমান সরকারের মিশন ভিশন হচ্ছে দেশে থাকতে হলে, বাঁচতে হলে এই সরকারকে সমর্থন দিতে হবে আর তা না হলে হয় প্রবাসিনী না হয় অন্যায় অত্যাচার মৃত্যু মেনে নিতে হবে।
এই রাস্তা গুলোই তারা সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে আইন করে নিয়েছে, দীর্ঘ ৭ বছর ধরে তাই চলছে।
এই পরিস্থিতিতে কৌশলের রাজনীতি করা ছাড়া কোন উপায় নেই। কত প্রান আর দিবে বিশেষ করে জাতীয়তাবাদী দল ও জামায়াতে ইসলামী দল।
মীর্জা আব্বাসই ঢাকা মহানগরের দায়িত্ব পেয়ে বিপুল পরিমাণ নেতাকর্মীদের সমন্বয় করে প্রমাণ দেখিয়েছেন ঢাকার বিএনপি মানেই আব্বাস।
গত জানুয়ারি মাসে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গুলশান কার্যালয়ে বন্দী করলে মীর্জা আব্বাসই প্রথম ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মীদের নিয়ে। সেই মিছিলে পুলিশের গুলি বর্ষণ চলে। মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে ৫/৬ জন আহত হয়েছে গুলিতে কিন্তু বাস্তবে শতাধিক নেতা কর্মী আহত হয়েছিল। সেই মিছিলে এবং তারপর থেকে যার যার এলাকায় সেই সব নেতাকর্মীদের বাড়ি ঘরে পুলিশ হামলা ভাংচুর করে তাদের আটক করেছে। আবার কাউকে একেবারেই ক্রসিং ডেডে ফেলে দিয়েছে।
বর্তমান পেক্ষাপটে দলের ভিতরও সুবিধাবাদীদের অভাব নেই। সেই সুবিধাবাদীরা নিজেরা রাস্তায় তো নামেই না বরং নিজেদের ভিতরে বিভ্রান্তির চেষ্টা করে যাচ্ছে এছাড়া কিছু রয়েছে ছবি সহ সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে হুংকারের রাজনীতি নিয়ে।
হুশিয়ার সেই সব সুবিধাবাদী নেতাকর্মীরা মনে রাখবেন সময়ের পেক্ষাপটে যারা সুবিধা ভোগের আসায় 'ধরি মাছ না ছুই পানি ' এই রাজনীতি করে যাচ্ছেন তারা মনে করবেন না দলের উচ্চ পর্যায় থেকে কেউ না কেউ আপনাদের কর্মকাণ্ড গুলো রেকর্ড করে রাখছে। তাই দলের স্বার্থে দেশের মঙ্গলে সঠিক রাস্তায় যাত্রা শুরু করাই মঙ্গল যদি জাতীয়তাবাদীতে বিশ্বাসী হন।
আমি ঢাকার সন্তান জিয়ার আদর্শে বিশ্বাসী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বচ্ছ সুন্দর রাজনীতির ধারাকে পছন্দ ও বুকে ধারণ করে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।
আমি রাকেশ রহমান প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক বাংলাদেশ সত্যের শক্তির পক্ষ থেকে পুড়ানঢাকা বাসীর পক্ষ থেকে আদর্শ পরিকল্পিত ঢাকা গড়তে অভিজ্ঞ সরাসরি পথে বিশ্বাসী জিয়ার আদর্শের সৈনিক, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মনোনীত প্রার্থী সাবেক মেয়র ও ঢাকা মহানগরের বিএনপি'র আহ্বায়ক মীর্জা আব্বাস ভাইকে দল মত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণকে ভোট দিয়ে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র নির্বাচিত করার আন্তরিক অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রতিবেদকঃ লেখক, কলামিস্ট ও প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক বাংলাদেশ সত্যের শক্তি