বিএনপি-জামায়াত অবরোধ-হরতালে কোনো সময়ই জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারেনি। এ কারণে তাদের একমাত্র ভরসা ছিল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলে মন্তব্য করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
তিনি বলেছন, বিএনপি তাদের কর্মসূচির নামে পেট্রোল বোমা হামলা করে মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। এখন তারা খালি হাতে ঘরে ফিরে গেছে। কিন্তু তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, দগ্ধ হয়ে বার্ন ইউনিটে কাতরাচ্ছেন তার দায় খালেদা জিয়া ও বিএনপি-জামায়াতকেই বহন করতে হবে।
শুক্রবার বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির দুই দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন। পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় রাজনৈতিক রিপোর্ট উত্থাপন করেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা এমপি।
সভায় গৃহীত রাজনৈতিক রিপোর্টে বলা হয়, কেবলমাত্র আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করে নয়, জনগণকে সম্পৃক্ত করেই সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে জঙ্গিবাদী শক্তিকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে।
সভায় সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত ২০ দলের রাজনীতিতে ফিরে আসার চেষ্টাকে ভোটের মাধ্যমে প্রতিহত করার আহ্বান জানানো হয়।
এ সভায় উপস্থিত ছিলেন পলিটব্যুরো সদস্য কমরেড আনিসুর রহমান মল্লিক, বিমল বিশ্বাস, নুরুল হাসান, শফিউদ্দিন আহমেদ, মাহমুদুল হাসান মানিক, ইকবাল কবির জাহিদ, নুর আহমদ বকুল, হাজেরা সুলতানা, কামরূল আহসান, আমিনুল ইসলাম গোলাপ, মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাজী বশিরুল আলম, জাকির হোসেন হবি, অনিল বিশ্বাস, নজরুল হক নীলু, শেখ সাহিদুর রহমান সাইদ, এনামুল হক এমরান, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, করম আলী, রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল, শরীফ শমসির, নজরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আবু হানিফ, সিকান্দর আলী, হবিবর রহমান, সিরাজুল ইসলাম শেখ, অরুন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট কাজী মাসুদ, রফিকুল ইসলাম, দীপংকর সাহা দিপু, তপন দত্ত, বিকল্প সদস্য আবদুল খালেক, আকসির এম চৌধুরী, রবিন সরেন, মজিবর রহমান, তুষার কান্তি দাস, অধ্যক্ষ ইব্রাহীম খলিল, বজলুর রহমান মাস্টার, জাকির হোসেন, সরজিত সেন, অ্যাডভোকেট ফিরোজ আলম, অ্যাডভোকেট জোবায়দা পারভীন, সদরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট এনতাজুল হক বাবু, জাকির হোসেন রাজু, মোস্তফা আলমগীর রতন, সাব্বাহ আলী খান কলিন্স, মিজানুর রহমান প্রমুখ।